ক বি তা
এই বসন্তে, যে গাছটির নতুন পাতা এলোনা
সে আমার বাবার মতোই
দায়বদ্ধতার শীর্ণ ডালপালা মেলে,
গোটা আকাশ ধরে দাঁড়িয়ে থাকে…
বাতাসে-বাতাস ছোঁয়। অন্ধকারের গায়ে পাড়াগেঁয়ে গল্প জমা হলে
রাত আরো গভীর হয়।
অবাধ্য ডালপালা পেরিয়ে
মায়ের মতো একটা ম্লান চাঁদ এসে দাঁড়ায়
এই ধারাবাহিক ছায়া-ছায়া সংসার ছবি
ছড়িয়ে পড়ে, উদাসীন উঠানে, কলতলা বারান্দায় !
মাকে বরাবরই বাবার পাশেই দেখেছি।
মেঘ, ভেঙে ভেঙে মা চলে যায়
মাটি, পাথর, ডিঙিয়ে এই পরিচিত জীবন
সাঁকো পেরোই, জল ভেঙে ভেঙে যায় চাঁদ
তবু, চাঁদ মাথা ছুঁয়ে রাখে, মায়ের মতো
এই বসন্তে, যে গাছটির নতুন পাতা এলোনা
সে আমার বাবার মতোই
দায়দায়িত্বের শীর্ণ ডালপালা মেলে,
এক অভাবী সকাল ধরে দাঁড়িয়ে থাকে…
চেনা, সকাল ফেলে
নিয়মিত দূরে কাজবাড়ির রাস্তায়,
মিলিয়ে যায় দ্বাদশীর ম্লান চাঁদ।
রাত গভীর হলে, বাতাসের পরতে-পরতে অনেক মেঠো গল্প জমা হয়।
আজকাল একটা ভাঙা চোরা আয়নার খোঁজে
প্রায়ই,
ফেলে আসা একটা বেনো দীঘির জলে ডুব দিই…
কখনো-কখনো, তুমি একটা নদীর গল্পের কাছে
ফিরে যেতে চাও
আর আমি লিখে রাখতে চাই, জীবন বিষয়ক যাবতীয়গুলো ।
উত্তরগুলো প্রশ্ন খোঁজে, আর সম্পর্কগুলো গল্পকে ছুঁতে চায়
যাবতীয় গল্পের ইন্টারভ্যালে, ওয়েটার এসে কফি বসিয়ে যায়
শব্দেরা ছড়িয়ে পড়ে, রাস্তা হয়ে যায়…
হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া, একটা রাস্তার সাথে
তুমি আবার গল্প করতে থাকো
অভিমানী মোমবাতিদের খোঁজ নাও!
সমস্ত জ্বলা-নেভা আলোরা তোমার ডাকনাম ধরে ডাকে…
দৃশ্যর ওপারে দৃশ্যান্তর…
দৃশ্যান্তর জুড়ে নিয়মমতো জ্বলে ওঠে, নিভে যায়
দেওয়ালির মোমদিন
এক নিরুত্তর শব্দের গভীরে।
আর আমার ফেলে আসা জীবন বিষয়ক
যাবতীয়গুলো, তোমার পরিচিত স্রোতের, শব্দ-অক্ষর-বর্ণদের খোঁজে।
দূরে, আরও দূরে, নিয়মিত সরে যায় দেওয়ালির সন্ধ্যা
পরিচিত উত্তরগুলো প্রশ্ন হাতড়ায় , চরিত্রগুলো গল্পের
আরও কাছে আসতে চায়
তবু নিয়মিত, অপরিচিত শব্দের গভীরে
চেনা রাধিকাপুর এক্সপ্রেস হারিয়ে যায়
উত্তর থেকে নিরুত্তর এক নদী গল্পের দিকে