ক বি তা
তুমি ঠিকই বলেছিলে, কাল্পনিক এক ব্যাধির কারণে আমি প্রতিরাতে
বন্ধ জানালার পাল্লায় হাত রাখি
মনে হয় একলব্যের হাসি ফুটে উঠছে ওখানে
আর তার বৃদ্ধাঙ্গুলি কুড়িয়ে পেয়ে আমি, ছুটে যাচ্ছি, যাচ্ছি আর যাচ্ছি
অপারেশন থিয়েটারের লাল লাইটের দিকে তাকিয়ে আছি
আসমানি লাল আর এই লালের মাঝে কি কোনো সম্পর্ক আছে
এগিয়ে যাচ্ছে অপার দরিয়ার দিকে
অথচ খসে পড়ছে সময়… আমার শরীরে তার কণা মাত্র অস্তিত্ব নেই
যেটুকু সময় তোমার কাছে ছিলাম, বুঝেছি আমার অর্ধেক কীভাবে অসম্পূর্ণ আর
তুমি, ঐ লাল লাইটের দিকে তাকিয়ে অপরিহার্য রিক্টারের জন্য প্রহর গুনছ
সমকাল তোমাকে কি ঘৃণা করবো!
অতিরিক্ত মদ ও বেশ্যার কারণে তোমার ইহকাল পরকালে মিশে যেতে বসেছে
আর তুমি ঠিক এই মুহূর্তে বসে আছ একটি পচা গলা বৃদ্ধাঙ্গুলি নিয়ে
একদিন দেখি বুকের দুধ তুলে দিতে চাইছ আমার মুখে
কারণ তোমার অর্ধেক নিজেই নিজের সমুদ্রে ডুবে খুঁজে চলেছে নিঃশ্বাস
আমি অসময় থেকে সেটুকু মুছে দিতে চাইছি
যে অমোঘ তীর ছুড়তে আমাকে সাহায্য করেছিলে তা দিয়ে কিভাবে আমার স্রষ্টাকে সন্তুষ্ট করবে
ভাবছি তাই আর আমার ভিতরে ভিতরে হেঁটে যাচ্ছে কেউ
আমাকে বলছে
নগর কীর্তনে বেরিয়ে মনে হল সব কথা বলা যায়না, লেখা যায় না
অথচ এক টান অনুভব করি
ঐ খোল ঐ করতাল শব্দ, আমি আর আমার পা হয়তো এক মৃদঙ্গের পিছনে ছুটে চলা
হয়তো হরিণ, শব্দ থেকে বেরিয়ে এসেছে
ছুটে চলেছে অনতিদূর
অথচ মেলে না কিছুই সে শব্দ ক্রমশ ক্ষয়ী
দেবত্ব কাকে বলে, কাকে বলে তুলে দেওয়া
সব চরিত্র ঘন হয়ে আসা ত্রিগুণাতীতার কাছে হাত পাতে
অথচ তরল অথচ চাওয়ায় কোনো গ্যালাগজি নেই
আমি জানি ‘আমি’ বাদ দিয়ে কবিতা লেখা কঠিন
তুমি আমাকে বার বার সেই কাল্পনিক ব্যাধির কথা মনে করিয়ে দাও
একটি শিশু কোলে উঠবার জন্য হাত বাড়ায়
মা আর মেয়ে জগতের সব থেকে জটিল সম্পর্ক গড়ে
যেখানে হেরেও সুখ, হারিয়েও আর
একটি অপরিহার্য স্পেস
অপারেশন থিয়েটারের লাল লাইট
তুমি নয়, এখন সেই তাকিয়ে আছে
প্রতিফলিত মিথ্যা দেখাচ্ছে আত্মপ্রতারণা এই,
এই সেই যার কাছে একটি পচা গলা বৃদ্ধাঙ্গুলি আছে