গু চ্ছ ক বি তা
খদ্যোত
কথা দিয়েছ, পড়ন্ত জোনাকির মতো
শীতল অন্ধকারে আলো দেবে আমায়
মুমূর্ষ শব্দে, ঈষৎ অন্ধকারে, কিংবা
বিন্দুসমন্বিত অন্তরীক্ষে ।
গভীরে, ক্ষুধামান্দ্য গভীরে ছেয়ে ফেলবে –
আমায়, আমার মূর্ছিত ডালপালা,
আমারই কোনো এক অসাড় বিম্বিসার ।
হয়ত সেদিন
লক্ষ লক্ষ চিৎকার উঠবে
বিস্ফারিত হবে ক্লেদ, রক্ত, মাংস
ক্ষতবিক্ষত শরীরে নিঃস্ব জরাসন্ধ
হয়ত কেঁপে উঠবে পুনরায় মৃত্যুবোধে ।
কথা দিয়েছ, পড়ন্ত জোনাকির মতো
কথা দিয়েছ উষ্ণীষ অন্ধকারে
কেবলই আলো দেবে আমায়।
ঐশিক
ধরো এখানে উদগ্রীব হয়ে, তোমার কবিতা
কেউই শুনছে না।
সবাই যে যার মতো, এর ওর মুখ থেকে
সাজিয়ে নিচ্ছে গল্প।
কেউ কেউ মিথ্যে বলছে, অধিকাংশটাই
যদিও অভিনয়।
এখন কী হবে তোমার? কে দেখবে ধু-ধু মাঠ
কে জুড়ে নেবে স্বেদ ও সন্ত্রাস ক্রমশ
ছায়ায় ছায়ায় কে খুঁজবে স্বদেশ
দেখো, এখানে সব- গুঁড়ো বৃষ্টির মতো
মায়াবী-প্রেত-যোনি সব যেন ঐশ্বরিক
অথচ, তোমার ঈশ্বরকে কোথাও দেখছি না তো !
ষড়দর্শন
এখন উদাসীন সূর্যাস্ত, স্বপ্ন ও গল্পে মোড়া ঋতু
এখন সান্দ্র বিচ্ছেদ, ধ্বংস বলতে শুধুই বিভ্রম
ঢেকে যায় মাইলের পর মাইল, উড়ে যায়
কোথাকার সে অভিমান, শেষ বিদায়ীর বৃষ্টিমালা
এসো, নীরবে কথা বলি, মিছিলে মিছিলে
পড়ে ফেলি হেমন্তভাবনা
তুমি আস্তে করে, ছুটি নিতে বলবে আমায়। আমিও
ঘোরাব দুই চোখ, সুনির্দিষ্ট সুদৃশ্য অভিলাষ
এমন ব্রহ্মচর্য, সে তো আত্মার থেকেও দামী
কি বলো!
রূর্যকিরণ
জানালার বাইরে মুঠো মুঠো হাত, মদির মন্থর
প্রস্তরবাহক, নিঃস্ব পলাশের ঘ্রাণ
প্রকাশ্যে কখনও হিংসার, কখনও বা স্থির
কিছু মুঠো আকাশের দিকে, কিছু কিছু
মাথা নত, অযথার্থ, প্রবহমান
আদর গায়ে ভীষণ ঘনিষ্ঠ চোখের কাছে,
খোলো, দেখো, আরও কাঁদাও
এখনও কি বলবে
এমন অন্ধকার আদৌ কাটিয়ে ওঠা যায়?
এষণা
এমন আবেগ ও মূঢ়তা, মাঘ ও হিমবাতাস
এদের আয়ুষ্কাল দীর্ঘ, উদাসীন ও নগ্ন
এর অর্থ কে জানে, কে বলবে সব ?
যে ধ্বংস, নিয়ন্ত্রণ, সহবাস ও ছায়া
পড়ে আছে দীর্ঘকাল, সূর্যাস্তের নিচে।
তার হিসেব?
হে প্রভু! বুদ্ধি দাও, দাও মাতৃভাষা, দাও
সমস্ত আণবিক, আত্মিক, দাও…
আমাদের কেবল মানুষ করো, কেননা
কেবলই মানুষ করেছ তাই।