ক বি তা
আমি কি তবে এই সাড়ে-চব্বিশ মিনিটের বানভাসি জীবন থেকে খসে পড়ব রাস্তায়?
মৌরলা-মাছের মতো ফুটকি কাটছি, পৃথিবীর অন্ধকারতম বারান্দা থেকে! গাছেদের সরু হাত ধরে টানাটানি করছে মতলবি হাওয়া! পায়ে পায়ে পিছিয়ে যাচ্ছে পথ– ঘরে ফিরেও কতজন পড়ে থাকে ঘরের বাইরে!
এই ফাঁকে কে যেন তর্জনী উঁচিয়ে বলল: ঐদিকে ওই শ্যাওলাজন্ম বিছানায়, জেগে আছেন এক শোকপালক– মৃত্যু যাকে ছোঁ মারে রোজ!
ছাড়ো ওসব বিপদজনক বালিকথা! যেটা বলছিলাম আর কি—
ওগো মানুষসব, তোমরা আমার বিভাগীয় নিমপাতা যাপন, মনে রাখবে তো?
জেনো, অগুনতি অপরাধ ছিল না আমার– বাঁদিকে মাটি সামান্য কম দিয়েছিল ভগবান! কপাল পেয়েছিলাম মাছের কাঁটার মতো মাংসহীন!
এত কালো সকাল, বোতাম-খোলা বুকের অন্ধকার– আগে দেখিনি কখনো। একটা তরুণ ডিঙি। মাঝ-দরিয়ায়। স্বপ্নের-মহড়ায়। আর কতক্ষণ জেগে থাকবে ধীবর?
আমার রাত শুরু হয় অর্ধেক রাতে—
আমাকে দেখে, পথের মাঝখানে হাউ-হাউ করে কেঁদে ওঠে বৃষ্টি!
এখন রাত তিনটে, গোটা চারেক মেধাবী কুকুর, মানুষের ভুল স্বপ্ন ভাঙাচ্ছে…।
ঘাম সংগ্রহে সংসার বড়ো করছেন বাবা! জ্বালানির ঘাটতি মেটাতে কপাল পেতেছেন মা! কুটুমেরা ছায়া ছিঁড়েছে বহুকাল। আমাদের যৌথ জাগরণ দেখছে মধ্যরাত!
খোলসের সাথে বিবাহ আমাদের। চৌকাঠ ডুবিয়ে যায় চাঁদের শোক!
বহু ব্যবহৃত পেটে, দোতারা বাজায় ক্ষুধার প্রতিমা!
বিস্কুট রঙের দিন ফুরিয়ে যায় পেরেক পরিহারে! পাশের বাড়ি থেকে ছুটে আসে দাঁতের শব্দ… ‘ভাড়াটিয়া’ দাগ মুছে দাও ভগবান।