ক বি তা
বিষপানে প্রতিবার এভাবেই মেরে ফ্যালো বসন্ত সমাজ
পথের দু’পাশ জুড়ে মাইলস্টোন বিধিবদ্ধ সতর্কতাবানী
তবু কিছু আলগোছে নারী চলে গেল বনের ভিতর
হাতে ভরা আলতাছোপ, গুপ্তবিদ্যা, ধারালো বাঘনখ
ল্যান্ডমাইন পুঁতে আসা, এইমাত্র উড়ে গেছে শুভ্র অ্যাম্বুল্যান্স
চরাচর ভেসে যাচ্ছে, শীতার্ত বনের জ্যোৎস্না
ভয় জাগে? মনে হয় এই আলো ঘোর দুর্দৈব?
দূরে একা পাহাড়চূড়ো; মারাংবুরু চেয়ে আছে পিতলের চোখে
সাইনা বাঁশি বেজে ওঠে
খিলি করা পান মুখে ছৌ ছৌ মেয়ে
মশলার ঝাঁঝ খেয়ে
মুখোশেরও জল আসে চোখে
জর্দালতার গায়ে তীব্র আগুন
ক্ষোভে তাপে পুড়ে যাচ্ছে বরজের পাখি, পালকে পূরীষ মাখা,
বহতা জলের নীচে
খয়েরের ঝাল আর নুড়ি, নুড়ি, নুড়ি…
যৌনতায় দুলে ওঠে সুপুরির ছায়া
ফুলতোলা জাঁতিকাটা, কুচি কুচি রাংতা মোড়ক
খিলিপান, আঠেরো শতক, এঁকেছিল নৌবহর ম্যাপ…
থির থির বিজুরিয়া
ইলেকট্রিক শক দিলে, তুমি অগতির গতি চিৎসাঁতারপ্রিয়
সাবান-বুদ্বুদে ভাসে কাঠগোলাপ চারা
কলতলা পেরোল জেল্লা ইস্টিশান ভুলে
তবুও তোমার থেকে দূরে সরে গিয়ে
হৃদয় পেতেছে যারা মধুকূপী ঘাসে
তারা সব উতরোল…
উপবীত উড়িয়ে দেব বসন্ত বাতাসে