বাং লা দে শে র ক বি তা
পুকুর-খেকো কসাই যে-রকমভাবে
খুন করে গেছে, ছোট–শীতল পুকুর
শিরীষের ডাল কেটে কেড়েছে দুপুর
আহা নিশিবকগুলো তবে কই যাবে!
রাতের আহার নাই, রোদে নাই ছায়া
পাখির পালকে ঝরে দেশ মাটি আশা
রাজনীতিবিদগণ খেলে যায়– পাশা
দাঁত বের করে হাসে! চোখে নাই মায়া!
মায়াহীন হয়ে ওঠো তোমাকেও দেখি–
নাই লাজ, ছুঁড়ে মারো বাসন-কোসন
চাঁদ নেমে এলে তারে খুন করো নিজে
দরোজায় কড়া নাড়ে বিবেকের ঢেঁকি–
‘ভালোবাসা’ নাই, আছে কাঙাল-ভোজন!
আমার তো নাই কিছু! দুই চোখ ভিজে…
মৃতপ্রায় কবিতার মতো পড়ে আছি।
তুমি যদি একবার পাঠ করো ভুলে
হারানো পানসি নাও দেখা যাবে কূলে–
সেই কথা বলে যায় সুদিনের মাছি।
কবিতারা ম’রে গেলে নারীর উপমা
চিরতরে ভুলে যাবে, কবিদের চোখ
হারাবে চোখের আলো, ঝরবে অশোক
সেই পাপ-বেদনার থাকবে না ক্ষমা!
কবিতা-অশ্রুজলে ডাকাতিয়া ঢেউ–
ভ’রে ওঠে এইখানে বুকের তলায়;
তবু আমি যেন এক নিরালোকে লোক!
আমার শব্দ ভাষা খুঁজলো না কেউ
পাড়ের ভাঙন শুনি, দু’কূল কাঁপায়
লিখেছি তোমার নামে গোপন শোলক!