মু ক্ত গ দ্য
আহত হওয়ার পর আমাকে বলা হল আপনি কোথায় যাচ্ছিলেন? কেউ বললেন আপনি পড়ে গিয়েও স্যানিটাইজার নিতে ভোলেননি, বড্ড শিক্ষিত। কুকুরটা মাংস খুঁজতে এসেছিল। দোকানী হাড় ছাড়ানো চামড়া গোটাচ্ছিল। রৈ রৈ করে একটা টেম্পো জানান দিল ওরা বাগান কাপ জিতেছে। ধুয়োর ভেতর জমে আছে সংলাপ আর ধুলোর মতো অহংবোধ। আজ তারা আমাকে জানায়নি। কাল আমিও জানাব না। ট্র্যাডিশন নিয়ে হাঁটব কানা পাশ তলা। গান গাইতে থাকবে ওরা। বাজবে তবলা। আমার ভ্রূক্ষেপ নেই। সামাজিক পাখির মতো নেশা করি না। বিরক্তিকর উল্লাস করি না। তবুও মাতি। নিজের হৃদয়কে মলম দেবার উৎসবে, কাঁধে রাখি হাত গোপন বিস্ময়ের―
খুব পুরনো একটা পথে চলছি। হাতের রেখা থেকে সব ময়লা মুছে গেছে। আমার ভুল হচ্ছে খুব। আমাকে দাঁড় করানো হল শহরের অন্ধ গলিটায়। দুটো কুকুর আমাকে স্বাগত জানায়। একটা শেয়াল আজও খুঁজে যাচ্ছে হারানো জন্মভিটা। নতুন বাজার থেকে ভেসে আসছে বরফ কাটার ঘরঘর ধ্বনি। পথ চলছি। চোখ বন্ধ নেই। তবুও ভুল হচ্ছে। গলি গুনতে ভুল হচ্ছে। এ তো আমার অহং ছিল। আমার দরজায় তালা। পাখির বদলে ভৃত্য পালিয়ে যাক। ডানার কী বা দোষ? পরিধি জুড়ে ছায়া। এই ছায়ার ভেতর নির্লেপ লেগে ছিল। কবেকার অমনিবাস গ্রন্থ। গ্রন্থ নিয়ে আসছে বারবনিতার স্বামী। সে স্বাক্ষরের পাঠ নেবে। ভদ্র ভাষায় বলবে আপনারা আমার বউকে নগ্ন করে সেঁকবেন…
পাখি ফুড়ুৎ বলে। কথাকলি শিখে এসেছে পাড়ার মেয়েরা। আজ সমবেত চড়ুইভাতি। বন্ধু বলেছিল নোনতা জিনিসের খুব টেস্ট। মদিরার নেশা কেটে যাবে। ত্রিভুজ জীবন। প্রত্যেকের ত্রিভুজ চেতনা আছে। সাপ পালাতে গেলে ছোবল সঙ্গ নেয়। ছায়া মারানি দুপুর আমাকে অভিশাপ দেয়। দেবতার ঘরে ঢুকে সঙ্গম। সঙ্গম ঠিক হয় না। ওলটপালট করে দেওয়া দৃশ্যরা ভিড় করে। এরপর কবির প্রবেশ। কবিতার দুধ খাওয়া। কিশোরী মাই টিপে ঝোলা ব্যাগ কাঁধে বাড়ি ফেরা। আত্মস্বাদ রোদ্দুর উপুড় করে দেয়―
দোকানী এসে মিষ্টি হাসে যেভাবে দেবরাজ বলেছিল। বলেছিল জীবিকা নির্বাহের নানা কু-অভ্যাস। সভামঞ্চে নেমে আসতে দেখেছিলাম। অভ্যাস। অভ্যাস ঝুঁকে দেখার। স্যান্ডেল কি মোলায়েম! চুমু খেতে ইচ্ছে করছে! শরীর মানেই তো কবিতা। ফ্রয়েড আমার ন্যাঙটা কালের দোস্ত! আমার ভাষা ওকে শিখিয়ে পরিয়ে রেখেছি। মাতালের কোনো জাত নাই। ওদের স্বভাব ভুল হয়। উগরে দেয়। রাতের ভূমিকায় দেখা যায় জ্ঞানের দস্তুর। কবি তো কামুক-ই! বিক্রয়ের সন্ধানী। খবর শনাক্ত হচ্ছে না। বিচারপতি বলছেন আপনারা ভুল ভাবছেন। তিনি তো পিতা!
মাদী বিড়াল এসে গুনে গেল ঠিক কোন কোন বিষয়ে সে প্রসব করতে পারে! গুনিতক ভিড় হতে পারে আপনার স্বল্প ইশারা। পাহাড়ের গায়ে যেভাবে অযুৎ বিযুৎ রং গন্ধ দেখি। আশ্চর্য মানুষেরা গাঁদা ফুল জড়ো করে পড়ে। এদিকে আমি পাঁচবার আহত হলাম। ঠিকানাটা পর্যন্ত ফেরত দিতে চায়নি। না, রঞ্জনাকে সেই ভিড়ে রাখবেন না। সে তো প্রসাদ চেয়েছিল। গরম গরম খিচুড়ি। আমি বলছিলাম আমি আহত হচ্ছিলাম। আমাকে কুকুর লেলিয়ে ফেলে দেওয়া হল। আমি মাংস কাটা বঁটিতে পড়তে নিচ্ছিলাম। আমি ভুলে যাচ্ছিলাম নিজের দোষারোপকে স্যানিটাইজ করতে আর ভুলের ভেতর যে বিস্ফোরকগুলো আতাঁত দেখতে জেগে থাকে…