ক বি তা
বিশ্রামে গিয়েছিল সমুদ্র উদার সৈকত পেতে রেখে
তুমি পূর্বদিক বরাবর যেন পড়ন্ত কৈশোর দেখে
স্মৃতিশীলা কাছিমের মতো হেঁটেছ বালিতে ভর দিয়ে
ক্রমে অন্য পদছাপগুলি লুপ্ত তোমাকে এগিয়ে নিয়ে
যুযুধান বাতাসের ক্ষেত্র এখন এই সমুদ্রপাড়
তোমার পদছাপ কুড়িয়ে পরিত্যক্ত রাত্রি নিয়ে তার
সকরুণ গর্জন রাগিণী দূরে মৃদু-আলো নৌকা ছুঁয়ে
দূরত্বের চেয়ে আরও দূরে একা বিছানায় থাকে শুয়ে
সচকিত জল-পুলিশের অস্থির হুইসেল জানে না
বুকে প্রাচীন সমুদ্রবীণা এখন অন্য শব্দ মানে না
জেগে থাকে বালিতে তোমার পূর্বমুখী পায়ের আখ্যান
ছুটে যায় দুরন্ত নুলিয়া, সে চিরকিশোর— নোনা স্নান…
ততটা সরল নয় ভাবা গিয়েছিল যতখানি,
যতখানি ভাবা গিয়েছিল তারও অধিক গভীর
দৃষ্টি ছিল দৃষ্টির ভিতর; তৃপ্তিময়? অভিমানী?
ততটা জটিলও নয়, যতটা হলে মন অস্থির
ততটাও অস্থিরতা নয়, বরং কিছু উচাটন,
যতখানি ভাবা গিয়েছিল তারও অধিক বেড়েছে—
যেমন আগাছা পরিবার— আপাত তার বর্ধন
মনে হয় সঙ্কুচিত,— অথচ বৃদ্ধি দ্রুত হয়েছে
ততটা নরম নয় যতখানি গিয়েছিল ভাবা,
বর্মটি দৃষ্টিগোচর, কিছু কাঠিন্য তো রয়েছেই—
তবু তেমন সুদৃঢ় নয় যতখানি হলে থাবা
বিয়োগান্ত হয়ে ওঠে শিকারকে ছুঁয়ে দিলেই
তেমন সরল নও তুমি কিংবা তেমন জটিল
পরিচয় থেকেই অদ্ভুত মনস্তত্ত্ব ক্রিয়াশীল…