মু ক্ত গ দ্য
আমি সে ভাবে প্রতিহিংসায় জড়াইনি কখনো। আসলে ইচ্ছেটা বড়ো কথা। প্রত্যেকের নিজস্ব খান পাঁচেক রাজনৈতিক জিহ্বা থাকে। তা দিয়ে মুত্র বিসর্জন থেকে অখাদ্য সেবন সবটাই চলে। বাদামি ফুলদানিগুলি্র টকটকে বেহিসাবি রং হয়ে যাচ্ছে। অবাক হবারই কথা, দিন দিন গাঢ় হচ্ছে পেটের অভাবের সঙ্গে মনের ও মস্তিষ্কের অভাব। কিন্তু আমরা রাজ্য চালাই। আমরা পতাকার মেশিন দিই। আমরা রাতে বউকে সাতের বদলে আটের কথা ভাবি। একটু স্পষ্ট করে দেখলে বুঝব আমরাই দুরন্ত, সময় কিন্তু স্থির।
ঘুম আসছে। পালাবদল। ঠিক কতক্ষণ চামড়া আঁচড়ে দেখা হয়নি জন্তু আর মানুষে রূপান্তর হয়েছে কিনা। ভারি ভারি বস্তা আদর্শের রূপক ছিনিয়ে নেয়। সমাজ কি এখনও রন্ধনে আছে? আঙুলগুলি আর নেই। মাথা গেছে সরায়ের দপ্তরে। বর্তমানটা আমার ছাপোষা রক্তে ভরা। নর্দমা বয়ে টানছি। টানছি। তুমি বলে সম্বোধন সমানুপাতিক।
ফ্যান চলছে মাথার ওপরে। দূরত্বটা ঘনত্বে পরিণত। চোখগুলি খেয়ে ফেলছে আস্ত একটা সামাজিক বাঘ। ভাবনার পেশাদারিত্ব ক্ষীণ। আসছে বছর ভবিতব্যগুলো অ্যালবামে পরিবর্তন হবে কিনা! ইঞ্চির মাপ কেমন যেন খাটো হয়ে যাচ্ছে। খাটো হয়ে যাচ্ছে একটা থেকে আরেকটা ঠোঁটের পৌনঃপুনিক মাপকাঠি। কিন্তু ঈশ্বর জাতিদের স্থগিত রাখছেন, ঈশ্বর গলা কেটে নিচ্ছেন। ঈশ্বর পাথর থেকে কমিকসের জিভে। ভারসাম্যহীন পকেট সম্পর্ক নিয়ে ছুটছে। দেওয়াল পিছিয়ে চলছে পিঠের থেকে কিলোমিটার কিলোমিটার ফাঁক রেখে। তবু দায়ী। দায় আমার। চিন্তা আমার। দাঁত আমার। জীবগুলি মূল্যবান ক্রমিক নম্বরের।
সৌন্দর্য ফিরিয়ে নিচ্ছিল বাস্তবায়ন উর্বর জমি। ঘরের পর্দাগুলি পার্শ্ববর্তী গন্ধ পৌঁছে দিচ্ছিল অকাল আবদারে। বেকারত্বের পা, পাঁজর এবং তুলতুলে বাম দিক থাকলেও ব্রহ্মতালু অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়। না শেখায়নি কখনো রাষ্ট্র। জল ডাইনি হত্যার অপরূপ। আমার বীর্যের মৃত্যুহীন শোক চাইছি। জবাবী টেবিলগুলি রোমাঞ্চকর স্ট্রীট লাইট। বালিশে জন্মায় দুধ আর গোরুগুলো দেশটাকে মুতে ভাসিয়ে দিচ্ছে। এ রোগের কোনো গন্ধ নেই। এদেশের বাজারি ধর্ষণ ছাড়া কি বা সম্ভব রাজ্য বা রাজার থেকে? কিন্তু সেই ফুলদানিগুলি…