শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
পদ্মপাতার মতো টলটলে মুখ, ভেতরে খসে যায় জল, এই আছে এই নেই… শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়। তাকে কি ফেরাবে কেউ, দুঃখে দহনে চরাচর যে স্তব্ধ, কত সফর থমকে গেছে, গোপনে যা আছে চোখে চোখে রাখি, কালো ভ্রমর পাক খায় অবিরত; হাওয়া বিঁধেছে জন্ম মৃত্যু বরাবর সরল রেখা, মন তো জানে না তাকে কত খাজনা দিলে শোধ হয়… তবুও নিঃশব্দে হেঁটে যায় মেদহীন ছিপছিপে জাদুটোনা চোখ।
ক্ষয়া ক্ষর্বুটে একটি বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে কতগুলো সাপের কান্নায় জল জমেছে, না, মৃত্যুর ভয় নেই। যে মুহূর্তে তুমি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি খুলে, ওর শরীরে ঢুকে যাবে, পঙ্গু আর ব্যর্থ মানুষের মেরুদণ্ড খসতে শুরু করবে, আর অনায়াসে নিজের পদ্য ঝরঝরে তোমার জিভে, সাপেদের কান্না তোমার কাছে আর দুর্বোধ্য নয়, ছন্দে ভুল হয়ে গেলে কেউ রে রে করে তেড়ে বেত্রাঘাত করবে না… আমি জানি ঐ কালশিটেগুলো এক উন্মাদের দেওয়া, আমি গতরাতে ওকে বিশ্বস্ত হতে বলেছি, ও নিজের মৃতদেহর উপর থুথু ছিটিয়ে একটি ব্যবধান গড়েছে…