শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
১
বিটি রোড পেরলেই সময় এক পা দু’পা করে পিছোতে শুরু করে। ফাঁদে-পড়া মানুষের মতো। হরিসভার মাঠে থমকে দাঁড়ায় খানিকক্ষণ। শিবমন্দিরে। তারপর, বটগাছের ঝুরি বেয়ে একলাফে পাতার আড়ালে। বিটি রোড পেরলে, মফস্বলও খানিকটা সতর্ক হয়ে পড়ে। মার্বেলফলকে লিখে রাখে— সন ১৩৩৯। কী ঘটেছিল সে-বছর? একটা মানুষ গঙ্গাস্নান করতে গিয়ে ফেরেনি আর। বিধবা স্ত্রী পেট বাধিয়ে যাচ্ছেতাই কাণ্ড। বিটি রোড পেরলে, বারান্দার ধারে বৃদ্ধদের ঝিমোতে দেখা যায়। মা-মা চিৎকার। ১৩৩৯। হাঁড়িকাঠ। মা?
২
এমন অসহায়তা নিয়ে কীভাবে বেঁচে থাকে মানুষ? একপাশে বিটি রোড, অন্যদিকে এন্তার গঙ্গা। হয় ধাক্কা খাও, নয় ডুবে মরো। আড়াল বলতে সরু-সরু কিছু ইট। শরিকি বিবাদে ঝোপ গজিয়েছে। সেখানে খড়গ লুকিয়ে থাকে? জবাফুল? দূরের কোনো নাটমন্দিরে আরও-আরও সনতারিখ। স্বামী পরমানন্দের ফটো। স্ত্রী পরমানন্দ পেতে পারে না? গঙ্গায় কচুরিপানা দেখে আজকাল খালি লাশের কথা মনে পড়ে। বিটি রোড পেরলে, মনে পড়ে শ্মশানচুক্তির কথা। গোপনে পুড়িয়ে দেবে বলেছিল। রাজি হব? হই?