শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
সুতির শাড়িগুলো নাকি কবিতা-লেখা মেয়ে!
তারা কখন কী রূপ ধরবে বলা শক্ত—
প্রচলিত আছে— কবিতালেখা মেয়েদের খামখেয়ালির
অন্ত নেই।
অন্ত নেই ছেঁড়া জিন্সের খপ্পর থেকে তাদের বের করে আনার চেষ্টারও।
কবিতা লেখার জন্য মেয়েদের বরাদ্দ বড় টিপ এবং ফুলের গুচ্ছ—
ফুলে আল্যার্জি বলে— আমার খেলার বন্ধু, বরাবর কম।
চাঁদের শহরে, জ্যোৎস্না-বাগানের বিলাস-প্রিয় কবিকুল
আমাদের স্বীকার করতে চান না—।
তাঁদের ছদ্ম-প্রশয়ে, খামারবাড়ি আবিষ্কার করতে পারি নি
তাই এদিকের গল্প গুরুত্ব পায় নি কলেজপাড়ায়
— আমার সঙ্গে ভাব হয় নি মাটির গয়না এবং আলোচালের ভাতের।
কেবল,
দুধ পুড়িয়ে, রাততিনটের রেলগাড়ি চড়ে, কদম বনের বাতাসে
আমরা, যারা লিখতে বসেছি,
তাদের অবাধ্য কপালে ছিছিক্কারের টিকা দেখে
প্রেমে পড়েছে আরও কিছু ইস্তাহার, গান এবং
আগামির সমস্ত কবিতা।