শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । বাংলাদেশের কবিতা
মানুষের পরকাল নৌকার মতন পালতোলা
তবু ধাঁধা বারবার আমাদের খেয়ে ফ্যালে দ্রুত।
অন্ধকার মানে রাত, রাত মানে ঘুম—মখমল,
মশালের আলো থেকে বাতাসে আগুন অবিরাম।
মানুষের পরকাল মগজের এক কোণে ঢুকে
শুয়ে থাকে অনিচ্ছুক—ঘুম-গন্ধে তিরতির কাঁপে।
স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের পর আঠালো চাঁদের নড়ে,
মূল্যবান সকলটা তছনছ হয় কখনো বা।
সন্ধ্যা নামার মুহূর্তে আকাশের আলোতে অনেক
পাখিদের দেখি আর ক্রমাগত মনে হতে থাকে
আমার সমস্ত দেহ তাদের পাখনা ঝাপটাচ্ছে।
অথচ সারা-শরীর পাথরে খোদাই করা ছিলো,
বেদখল দীর্ঘশ্বাস গেঁথে ছিলো অনিচ্ছুক স্বরে—
বহুকাল কোনো এক মুকুরিত নীল সান্ত্বনায়।
পুরনো লোকেরা বলে : তরতরিয়ে গড়িয়ে পড়া
অন্ধকারে সারাক্ষণ উপত্যকার সুরেলা গান
কিংবা অতীতের ক্লান্তি মখমলের মতো লেগে থাকে।
দেয়ালেই মুক্তি যেন—হলুদ মশালে আবছায়া
ছায়াহীন মখমলে ফর্সা হাওয়ায় কখনো কখনো
মগজের এক কোণে ঠান্ডা আওয়াজে শুয়ে থাকে।