শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
মেরে ফেলতে তো সবাই পারে,
বাঁচিয়ে রাখতে পারে কজন?
কজন জীবন দিতে পারে?
আঙ্গুল তুলে বলতে পারে সবাই
তোমার বয়স এতো
এবার তুমি বানপ্রস্থে যাও।
বলতে পারে,
তোমার পক্ষে এ চপলতা এ বেমানান।
যেন বেঁচে থাকাটাই তোমার অপরাধ।
আমি তাদের থুতনি নেড়ে দি।
বলি এসো,কাছে এসো
হাত ছুঁইয়ে দেখো
পৃথিবীর মাটির নিচে এখনো দপদপ করছে
আগুন আর জল।
তুমি তাকে অস্বীকার করতে চাইলে
তোমাকেই চলে যেতে হবে এই ভূমন্ডল ছেড়ে।
মানব সমাজের ইতিহাস আর কদিনের বলো!
কিন্তু এই জল, এই আগুন অনন্তকালের।
তুমি যত তাড়াতাড়ি এ কথা বুঝবে ততই মঙ্গল।
হয়তো যা কোনোদিনই ছিল না
তাকে আমি বৃহৎ আর মহৎ ভেবে বসেছি।
সবকিছুর মতো প্রেমেরও একটা দায়বদ্ধতা থাকে।
আর তা থেকে ঝুলে থাকে কিছু সম্পর্ক।
সংসার,দাম্পত্য অথবা
তোমার সঙ্গে লেগে রইবার শর্ত।
এর বাইরে কিছু না।
এতে কি আমি ঠকে গেলাম?
না,একেবারেই না।
এই যে আমি খুঁজে পেলাম
হেঁটে চলার নতুন ছন্দ,
খুঁজে পেলাম আলোর ঠিকানা,
এ তো মিথ্যা না।
আমি যে দেখা পেলাম বৃহতের
তা তো বৃহৎ ই।
তিনি কার পথ ধরে এলেন
কীভাবে এলেন,
সে তো কোনো বিচার্য বিষয় নয়..
তিনি এলেন, এই পরমাশ্চর্য!