শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
তোলাবাজ অধ্যাপকের কথা ভেবে কষ্ট হয় খুব
এক শীতের সন্ধ্যায় তিনি হারিয়েছিলেন মা-কে
বাবার হয়েছিল কঠিন অসুখ।
এইসব গাবজাল তিনি ছড়িয়ে দেন বাংলা বাজারে
কখনও গলায় ঝোলান মেঘনাদবধ কাব্যের মেধাবী বর্ম
আবার কখনও ইস্তাম্বুলে কবিতা পড়তে যাওয়ার
মসৃণ গুল দিয়ে কাছে টেনে নেন সুশ্রী!
গল্প বুনে বুনে তৈরি হয় নতুন ফাঁদ
যেন সখ করে বানানো উলের সোয়েটার!
কাঁটায় লেগে আছে রক্তের দাগ।
তার স্ত্রী এক বিদুষী নারী। বিষয়ী অধ্যাপকের আঁশটে গন্ধ
সারাদিন মেখে বেড়ান নিজের শরীরে। দিন শেষে,
শুধু টাকার খাম দেখে ভুলে যান সবটা!
তাদের ঘরের টেবিলে বৃদ্ধা ছাত্রী এসে
মাঝেমধ্যে রেখে দেন পাপের মুদ্রা!
আবার রাতের কাছে এসে
পরাজিত হতে পারে কুসুম-কলহ
দূরের দশক তুমি। রোদে-জলে ভাবো…
তহবিলে ভরে নাও পিপাসা তোমার
আমি শুধু কাছে গিয়ে
তুলে নেব ফুলের গোপন ধর্ম
যাবতীয় আবাসন। শুধু
বেড়াতে যাবার আগে পিপাসা ভুলো না