শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
ছুৎমার্গ ভাগাড়ে যাক—যা-ইচ্ছে-করবই, আমি কবি
নেকুপুষুমুনু-হয়ে ছোঁয়া যায় না দুর্লভ প্রতিভা
মাপতে-গিয়ে থই-হারিয়ে নাকে ও চোখের জলে হবি
অন্ধ-ই হাতড়ায়—তার দুপুরও কী, মাঝরাত কী বা
হাঁটুরই-বয়েসী-ধরে—বেঁচে-মরে, দ্বাররুদ্ধ শোবো—
কালই অন্য, পরশু অন্য, হর্ষে বন্য ধন্য-হয়ে নামি
তরশু যে দু’জনকে-নিয়ে, একইসঙ্গে, পাপপুণ্য ধোবো
দেবতা সন্তুষ্ট হবেন। দেওয়া চাই উৎকৃষ্ট প্রণামী।
সৃজনের-নুড়ো জ্বেলে-দেব ওঁচাবোঁচাখোঁচা-মুখে…
মহতী-সৃষ্টিধারায় পার-হবে নদীবক্ষে খেয়া
স্ত্রী-কন্যা সুন্দর গৃহে—বাইরে ‘হ্যাপি’ আনন্দমুলুকে…
কাম শ্রেষ্ঠ, খাম শ্রেষ্ঠ, জয়তু গোপনে দেয়ানেয়া
‘জিনিয়াস’ হয়েছ, আর ‘কোকশাস্ত্রের’ ফান্ডাটি থাকবে না!
পরকীয়াটিয়া ছাড়ো। সকলেই আপন ও আমার-ই—
প্রকৃতির কোনও জীব নহে কোনও সঙ্গিনীর কেনা
কেচ্ছা তো কবির ধর্ম। রাতের কল্লোল স্বেচ্ছাচারী।
তা বলে ‘ভাইরাল’ করবি! ঠিক হ্যায় আমিও নেব দেখে—
ফেসবুকীয়-পঞ্চায়েতে আমার ‘ছেঁড়া’টি আসে-যায়!
আজ ‘খিস্তি’, কাল ‘কিস্তি’— মাৎ-হয়ে দলে এলি কে কে?
আমাকে দাঁড়াতে হবে বাঁশি-হাতে কলির-সন্ধ্যায়
‘আলো ক্রমে আসিতেছে…’। চতুর্দিক থমথমে, সন্নাটা…
কবিতা-লেখার-পূর্বে যেইরূপ স্থিত-হন কবি
বাতাসও তেমনই; হয়ত একটু পরেই ধুলোপায়ে হাঁটা-
লাগাবে; উড়ো-পাতারা এলোমেলো করে দেবে সব-ই;
নিজেকে দু’টুকরো করব! ভাঙব! কুচিকুচি-করব ছিঁড়ে!
গুছি গুছি কেশরাশি মিশে-যাবে হাওয়াকুয়াশায়…
হাহাকার বাজছে জনপদে, স্টোরে, স্টেশনের ভিড়ে…
ঘটনাহীনের মতো সময়ও চলেছে ঘটনায়
রোজ-রোজ উঞ্ছবৃত্তি। পিন-নম্বর-হাতানো চাতুরী…
নীলছবি-পরিচালনা… অঙ্গ-কেটে বিক্কিরি-বাজার…
গল্পগুচ্ছ এরকমই অসমাপ্ত, অপূর্ণ, অধুরি…
কোণঠাসা ‘পরিযায়ী’ও—ঘর নেই, কাজও নেই আর
শুনেছি ‘মন কি বাত’। তৃতীয়-ঢেউয়ের হাতছানি…
আলো কমে আসিতেছে। ক্রমশ শুকিয়ে-আসছে পানি।