শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
১
দেখেছি, তোমার আলগা সুতো
খুলছে না সে, আয়ুমন্থ অসুখের টানে
ধড়িবাজ স্নানঘর ধরতে আসেনি তোয়ালে
নজরবন্দি পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে না তার অনন্ত শখের প্রিয়-কান্না
এসো, সাড়া দাও, ডুব দাও
ছেড়ে যাওয়া বিষণ্ণ বাথটাবে
দ্যাখো, ভেসে আছে ভালোবাসা
ভেসে আছে হুক খোলা ফেনা,
জেগে আছে সুগন্ধি গালিগালাজ
যে কেউ পাইপ বেয়ে উঁকি দিতে পারো
যে কেউ শ্যাম্পুর অভিযোগে সাক্ষী দিতে পারো,
কোনো পুরুষের সাবানের খোপে কোনো মেয়ে চোখ তুলে না যেন তাকিয়ে থাকে আর
২
তুমিও পুরনো তোয়ালের কাছে এসে বসো
ক’টা চুল উঠে গেছে গুনে নাও,
দরজার ওপারে যে তালাটা মুখভার করে আছে
তাকে খোঁপা থেকে তুলে এনে দাও তোমার উত্তেজনার কাঁটা
পা হড়কে পালানো যে ছেলেটা
কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁকে মাথা গুঁজে মহামারির খবর অনুসন্ধান করছে
তাকে এনে দাও তোমার পিঠফাঁকা নকশা করা কাঁথাস্টিচের ফুলহাতা ব্লাউজ
তেমন পারমাণবিক পুরুষত্বের বাহন সে তো নয়
তবুও সে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য তোমার ফাঁকাপিঠে একটা সুদীর্ঘ পুকুর এঁকে দিয়ে যাবে
যে সমস্ত পুরুষের মৃত্যু হবে এই যুদ্ধে,
তারাই একমাত্র এই পুকুরে সাঁতার কেটে তোমার স্নানঘরের কান্না শুনতে যাবে…