শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । বাংলাদেশের কবিতা
সরোবরে ফুল ফুটলেই, তোমার বুকের গন্ধ
ছড়ায় চাঁপার বনে;
উৎসব শুরু হয়…!
জোনাকির আলো জ্বলেনেভে নলখাগরায়—
বাঈজির পায়ে বেজে ওঠে মণ্ডপেও কাসরের ধ্বনি।
হেমন্তের ধান; পাকা শুরু হলে বাঁধে
মহিষের বিরোধ, টঙ্কার লয়…
প্রলয়ের ঢেউ ঘুরেফিরে আসে তীরে;
স্রোতের উজানে মেলে ইলিশায় ধীবরের জাল
ডুবে গেছে পারাপার, ভরাজল অমাবস্যার শিয়রে মহালয়,
শিশিরে শিশিরে ভিজে কাঁদো কেন দেবী ?
অন্ধকার বুকে জেগে ওঠা চর—
চরাচরে দেখেছি ফুলের গুচ্ছ প্রণয়ের মতো হাসে;
হন্তারক হাতে রক্ত তুলে পান কর,
বিশপের পানপাত্র ভরে ওঠে এতো… মহামারি…!
ভোরের বিষাদ বুঝি, ধর্মের অসুখে লিপ্ত— কোভিডের মতো
বেপরোয়া উড্ডীন আকাশে—
রুদ্র তরঙ্গের ঘুড়িকাটা খেলা চারপাশে…!
তন্দ্রা খুলে দেখি আমি মধ্যরাত অতিক্রম করে গেছি
অন্ধকার ব্যূহ;
জানো, শেকড়ে আছড়ে পড়া কিছু জলের উদোম ঢেউ,
ফিরে আসে চার্চের কোরাস গানে।
ফোঁটা ফোঁটা রক্তে আঁকা ছিল, ক্রুশবিদ্ধ কোলাহল,
কাতরতা! প্রপাতের জল;
উজানের কাছে ছুটে যাওয়া কীর্তনখোলার…
ভাইফোঁটা মায়া—
মনে রেখ, খুলি-ওড়ানো যুদ্ধের ইতিহাস!
কখনো জুম করে পিছন ফিরে দেখেছ কি ?
পায়ের পাতায় ছুটে চলা রাজহাঁস এঁকে রেখে গেছে—
সব যৌনরেখা…!
ট্যাপ খুলে ঝরে যাচ্ছে, আত্মার গভীরে গলে পড়া—
মৃতুর শূন্যতা।