শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
অপেক্ষার সুষমা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে
জলে-ভেজা প্রাচীন কাঠ। গভীর তমসা পেরিয়ে
সূর্যসকাল ধুয়ে দিয়ে যায় বিষণ্ণ নদীর চর।
প্রমত্ত ঘুঘুডাক উড়ে বেড়ায় মানবজমিনে।
মুখরিত হরিনাম আর শ্রীখোলের উন্মত্তধ্বনি
ছায়ার মতো ধেয়ে যায় বিচ্ছেদবন্ধু মহাকালের দিকে।
নির্জনতার হাত ধরে খসে পড়ে
যত নিষ্প্রাণ আদমশুমারি
শুধু, মৌন জীবনের অভিমুখ জুড়ে
জ্বলতে থাকে
দগদগে ঘায়ের মতো
একটি গোধূলির কবিতা
এই যে দু’হাত বাড়িয়ে ক্রমশ আঁকড়ে ধরছ আমাকে,
আর আমিও অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করছি,
তোমার আলিঙ্গনে দুপুরের রোদও উদাসীন হয়ে ভুলে যাচ্ছে অস্তগামী হতে,
অনুকূল বাতাস ঢেউ হয়ে আদর করে যাচ্ছে মায়াবী হ্রদটিকে, তার সবটাই অলীক নয়,
সমাজের লক্ষ তাচ্ছিল্য সত্ত্বেও এই যে ভাঙাচোরা, বিধ্বস্ত রাতের মতো একটি ছেলেকে
ক্রমশ নির্জনতা দিচ্ছ,
সঞ্চিত বিপুল কান্নাকে মৃদু স্পর্শ দিয়ে তুমি পরিণত করছ ভালবাসার উপশমে,
এই যে নিঃশব্দে অন্ধকার নামার আগেই
হৃদয়ের কানাগলিতে জ্বেলে দিচ্ছ সান্ধ্যপ্রদীপ,
তার সবটাই মিথ অথবা মিথ্যে নয়
এভাবেই তো রচিত হয় রাত্রিকালীন মায়াবী সংগীত,
এভাবেই, পুরুষও জলচর হতে হতে নদীমাতৃক হয়ে ওঠে ক্রমশ