শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । পাগলা সানাই
নিশি রাত তাই রোগা চাঁদটার ডানা নড়ছে
ও উড়বেই নাকি ওড়বার ভান করছে?
বুনোফুল তাই প্রিয় ঝর্ণায় ধুয়ে যায় রোজ
চিনি অল্পই চেনা গল্পের কাপে দু’চামচ
হেবী ঘুম পায় তুলি রঙ খায় নামে রাত্রি
কত ঝঞ্জাট কত জঙ্গল রাস্তা বারতি
নিশি রাত তাই রোগা চাঁদটার ডানা নড়ছে
ও কি উড়বেই নাকি উড়বার ভান করছে?
যে আঙুল আদর চেনায় আঁচড় ডানায় কানায় কানায় ভর্তি আলো
যে আঙুল অল্প জ্বরে গল্প করে উষ্ণ ঠোঁটে মন ছোঁয়ালো
সে আঙুল পালক নাকি চড়ুই পাখি! কার তাতে কি?
সে আঙুল ধরবো বলেই ধুলোয় দু’ঠোঁট ডুবিয়ে রাখি
যে আঙুল ফেনায় ঢাকা কেবল একা আঁকড়ে কলম গুমড়ে মরে
যে আঙুল চোখের ভেতর কান্না-নদীর নিল আঁচড়ে মুগ্ধ করে
সে আঙুল পালক নাকি চড়ুই পাখি! কার তাতে কি?
সে আঙুল ধরবো বলেই ধুলোয় দু’ঠোঁট ডুবিয়ে রাখি
যে আঙুল হাসনুহানার বন্ধু ডানায় নির্ভরতার মেললো নদী
যে আঙুল স্পষ্ট মেঘে থাকলে জেগে ঝড়লে একা মন ভেজে কি?
সে আঙুল পালক নাকি চড়ুই পাখি! কার তাতে কি?
সে আঙুল ধরবো বলেই ধুলোয় দু’ঠোঁট ডুবিয়ে রাখি…
তোমার জোড়েই লড়ছি গুরু
তোমার থেকেই জিন্দা-বাদ!
আস্ত পাহাড় টপকে পেরোই—
মুঠোই রাখি লোভের খাদ।
একটু গড়ায় চাঁদের চাকা,
অল্প জ্বলে মোমবাতি—
ঝপ করে যেই রাত্রি নামে,
তারার কুচি গায়ে মাখি!
তোমার জোড়েই লড়ছি গুরু,
তুমিই খিদে তুমিই খাদ—
শূণ্যে ভাসে নৌকা আমার,
জলের নীচে চাষ-আবাদ
জলের নীচে চাষ-আবাদ…