শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । বাংলাদেশের কবিতা
সবুজ আত্মার দেশে তোমার জাদুময় উঠোনে মারবেল ছড়িয়ে দিলে সমস্ত পূর্ণতা জীবনের আড়ালে চলে যায়-সুগন্ধ সমুদ্রে- মরণের অববাহিকায়।
যা কিছু ভেসে উঠে স্মৃতি মানচিত্র আর কাঁকড়ার আদলে, তার সকল ব্যথা এড়িয়ে সকাল বেলায় সুন্দর হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকো। একটু হাসো, একটু ঢেউয়ের দিকে বেঁকে যাও। আমি দৃষ্টি ফলাই।
চূড়ায় নোলক পরে যে বউ বসে থাকে তার শরীরের ভাঁজে ডুব দিয়ে গুনে নিই জলের বিচ্ছুরণ, আকাশ-বাতাস কিংবা আমি- কেঁপে উঠি উড়ালপ্রান্তিকে, পানকৌড়ি ভেবে ভুল করি নিজেকেই।
হাস্যোজ্জ্বল মুখচ্ছটা ছড়িয়ে পড়ছে রোদের কণায়, গলে যাচ্ছি তীব্র তৃষ্ণায়- জীবন্ত পালকিতে চড়ে! হায় সেতার, আমার রক্তে আজ গঙ্গা নদী, তার উপর দিয়ে চাঁদরাত কে যেন বিছিয়ে দিয়েছে!
উম উম নরম আদরে হারিয়ে যাচ্ছে জীবনের রঙ, নখের দাগে জ্যোৎস্নাময়ী চাঁদ। বাদামী ভ্রুণ চিৎকার করে জানান দিচ্ছে অধিকারের- অনশন ভাঙা কাপুরষতার।
এই যে হাসছি দ্যাখো, নাভি উগরে যাচ্ছে হাসির ফেনায়। আজ আমার শরীর আবার কেঁদে উঠবে জন্মের বিরামহীন অহংকারে। তাদের সাথেও দেখা হবে, যারা ‘তারা’ গুনতে গুনতে হারিয়ে গিয়েছিল বিভ্রান্তির দিকে।
চারদিকে দৃশ্য গড়িয়ে পড়ার শব্দ। আড়ালে আবডালে পিনপতনে লুকিয়ে যায় একটি বেহায়া শরীর। যেন বা উদ্যম প্রাণচঞ্চল থেকে নিস্তেজ প্রাণহীন মাটি— যে যার মতো কেটেকুটে নিচ্ছে। এলোমেলো করে খাচ্ছে। অথচ তার বুকের উপর এক শুকনো নদী। সমস্ত সবুজ নদীর চরে আঁচল ধরে বসে আছে।
পিঁপড়ারও নিঃশব্দে হাঁটার রেওয়াজ নেই, অথচ নীরবতায় ‘শরীর’ ফেটে যাচ্ছে। সোঁদাগন্ধে চাক ভেঙে উড়ে যাচ্ছে মৌমাছির দল, ফিরে আসবে ভেজা কাকতাড়ুয়া চাহিদার ভেতর থেকে।
এ কষামাংসের মাপজোকের দিনে, শরীর ঢুকলো বাঁধভাঙা ভারী স্তন নিয়ে। কিছু হিরা-পান্না স্তনের উপর বসা দেখেও পুরুষ তাকে কালো রক্তে স্নান করালো।
এ কানকথা ছড়িয়ে গেলো পরমায়ে- পুড়ে গেলো অতীতের খুঁটি, যেখানে রোজ ঝগড়ার আসর বসত; ছিলো শালিকের দল। কুচকুচে জলে মিশেনি রক্তের ঢল!
আর কেবলই একটি আত্মা ছবি হতে চাইলো। ঝুলে যেতে চাইলো শ্মশানের কোল থেকে, আমাদের মতো!