শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
আমি এবার আট-হাতি ধুতির মতন সহজভাবে বলব
কালো কিশোরীর ছেঁড়া টেপের-বুকের মোটা সেলাইয়ের মতো বলব
না-খেয়ে রুগ্ন ছেলের মতন বলব আমার কথা
কত সহজভাবে বলব ছুরির ডগার মতন, দেখে নেবেন আপনারা
দেখে নেবেন একটা ভাতের ওপর কত সহজভাবে আমরা
ঢুলে-পড়া চোখের একটি ছেঁড়া পলক দিয়ে
লিখে দেব গ্রামের সব লোকের নাম, আর
তারপর অতটুকু জায়গায় অত মানুষের স্থান-সংকট
ভয় পাইয়ে দেবে কঠিন আর গুপ্তময় লেখাগুলোকে
মৃত্যুর মতো অত্যন্ত সহজভাবে লিখে দিয়ে যাব সবকিছু
সবকিছু ঢেউ হয়ে ফিরে আসবে আমাদের গ্রামে
ফিরে আসবেই
আর তখনই আমার আর আমাদের ছেলেমেয়েরা
লিখবে জলের মতন সহজ… সহজ… সহজে ৷
নিলামে ওঠা বাদ দিয়ে রাস্তায় বসে পড়লাম
দূউরে, তুমি হয়তো তখন ইস্কুলে মায়ামৃগ পড়াচ্ছ
ভরে উঠেছে কি তোমার চোখ
এই জীবন প্রায় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে…
ভোরের পাখিতে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে চারদিক
মায়ামৃগ এসে লাফ দিয়ে লাফ দিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে
এ জায়গা থেকে ওই জায়গায়…