শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । বাংলাদেশের কবিতা
নদী যে বিছানায় ঘুমায়, তার বালিশের নিচে
খুলে রেখেছে সমুদ্র তার দু’টি চোখ
জাগলি ধানের ফাঁসির দিন আত্মহত্যা করলো লক্ষীপ্যাঁচা
গোলাঘরে ঝুলছে এখন বাবুইপাখির শূন্য খাঁচা
মুখে পুরবার পূর্বে মুখস্থ করে নিই ভাতের কান্না
তবে প্রেমে পড়বার পূর্বে পড়িনি ‘ব্যথার জীবনী’
মৃত্যু’র ছোট মেয়েটা কলেজ থেকে ফেরার পথে
বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ভাইরাল হয়ে গেছে
কী দারুন! ‘বিশেষণ’ পড়ে আছে ভোরের দরজায়
সম্পর্কের মধ্যে কাশফুল দুলে, আর বিশেষ্যের দ্বিতীয় লিঙ্গ
দূরে, উপন্যাসের গ্রামগুলো দারিদ্র পীড়িত
বাক্যের সাপ বাড়ির পেছনের ডোবা জঙ্গলে
অতীতের কাহিনি আলোকোজ্জ্বল
ভবিষ্যতের আকাশ মেঘ মেঘ
মাঝে মাঝে তোমার কানে দুলে উঠে বিকালের আকাশ
স্তনচূড়ায় আটকে যায় পাড়ার বখাটে বাতাস
বিজ্ঞাপনে মুখ ঢেকে যাওয়া যুবকটির মাস্টারবেশন
মাঝে মাঝে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় জীবন
যখন পাড়াগাঁ আক্রান্ত হয় ক্রিয়া ও অব্যয়ে
তোমার আমার অতীতের নাভিতে জমেছে যে ময়লা
তার রূপতত্ত্ব পড়া হয় এখন ভাষাবিজ্ঞানের ক্লাসে
ধ্বনি অন্ধ দুপুরের ক্লাসে ডাকে জাতীয় পাখি দোয়েল
আমাদের প্রেম জাতীয় ছিলো না, ছিলো খুবই লোকাল
তবুও হাইপ উঠেছিলো জাতীয় পত্রিকায়
কিছু উপন্যাস ভরে উঠেছিল কল্পনায়
ভোর হয়েছে আজও, ডাকছে হকার
হয়তো আজও কোথাও, ছেড়ে আসা অজপাড়াগাঁ’য়
পেকে উঠেছে কারো প্রেম, কী দারুণ, কী দারুণ
কতো কোমল এইসব মুখরা শব্দ, ও ধ্বনি এবং কাহিনি
কী আনন্দ হয়! আহা! মৈথুনের পর ক্লান্ত দেহখানিতে
কেবল তোমরা, এই নিন্দুকেরা বলছো, ভেসে যাচ্ছে
এই শহর ভেসে যাচ্ছে কাশফুলের নরম ছোঁয়ায়
আর অবৈধ সঙ্গমের গ্লানিতে
অবৈধ বলে কিছু নেই ভোরের ভাষায়, প্রেম ও পিপুলের বাণীতে
ভাষিক নদীতে, এমনতরো ভোরে ভাসছে গান
ভাসছে মূর্ছিত সুর, বিসর্গের, রাজহাঁসের!