শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
একটি কবিতার জন্যে মেসেজ করতে পারি সারাদিন
একটি কবিতার জন্যে জেগে থাকি টানা তিন রাত
একটি কবিতার জন্যে ভাবতে পারি কয়েকশ’ বছর
একটি কবিতার জন্যে মাথা পেতে নিতে পারি বিরক্তি অপবাদ অপমান।
অথচ আমি কবিতাকে ভালোবাসি না
সে বলে, আমি তার শরীর নিয়ে আলোচনা করি রাস্তাঘাটে
চার লাইনের অণু বা বাইশ লাইনের হনু
তার সন্তানদের নামিয়ে এনেছি রকের মোড়ে
ভাব বিষয় শব্দ ছন্দ অতি ভদ্র ছিল অভিধানে
তাদের টেনে এনেছি কল্পনার বাড়ি থেকে বাস্তবের পোড়া রোদে
খেলাচ্ছি অশ্লীলতার মাঠে
যেখানে রাতে খেলে অন্তর্জগৎ, দিনে মুখোশের আড়ালে।
একটি কবিতার জন্যে সব অভিযোগ শুনে যাই দিনের পর দিন
অথচ আমি কবিতাকে ভালোবাসি না
আজ জিজ্ঞেস করলে বলব, চিনি না জানি না বুঝিও না
রাস্তায় পরিচয় সে কথা অনেকদিনের হলদে ইতিহাস।
আমার ভেতর আছে অসংখ্য আমি
আমার মতো শত শত মানুষেরা
জানি না তারা কারা, কী ভাবছে, কী অনুভব করছে?
অনুভবে আমি তাদের আধার
যেখানে তাদের অনুভব, ভাবনা, অবাস্তব চিন্তার দোল যেন আমার মনের দোলনায়।
আমার মধ্যেই অনুভব করি অনেক মন, শরীর ও আত্মা
মাঝে মধ্যে তারা মাথাচাড়া দিলেই সবার প্রতি আসক্তিহীন
ঘুমিয়ে থাকি দিনের পর দিন
এভাবেই বেঁচে আছি আবহমান আর জেগে থাকলে তারাও নির্বাক
নিজের ঘোরে কথা বলে যাই, ওরা তখন চুপ করে ঘুমোয় ।
নিস্তব্ধতায় ওরা কথা বললে মানচিত্র আঁকি
তার কিছুটা বুঝি কিছুটা বোধের ওপারে ভাসে
বোঝা আর না-বোঝায় তারা প্রশ্ন করে, তর্ক করে জুড়ে বসে
শিরায় ছাইচাপা আগুনের ধাক্কায় প্রতিবাদের ভূমিকম্প
আন্দোলন সজাগ হতে চায় আমার ভেতর কোন এক সচেতন মন ।
রাতদুপুরে আমায় ছিড়েখুঁড়ে বেরিয়ে পড়ে রাজপথে
তাকিয়ে দেখি মানচিত্রের দিকে,
বিধ্বস্ত ভারতবর্ষ রক্ত আগুন চোখে।