শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮। দীর্ঘ কবিতা
ফিরছি ভোলা মন
চুমুর অপেক্ষায় ঠোঁট গেঁথে গেছে মাটিতে
খরা হয় বন্যা হয়,
ওই হাঁ এর ভেতরে
ত্রাণ আসে মাঝে মধ্যে আর দূরের ট্রেন থেকে
আলো ঝলকায়, ছবি উঠতে থাকে
ভাঙন দেখতে এসে চকলেট খেতে নেই
ডানা ঝাপটানো জল তুমি সেন্ট দাও কেন
ওই সব কাতড়ানোর শব্দে অতিথি ঘুমিয়ে পড়ে
প্লাস্টিকের ছাউনী উড়ে যায়
… বৃক্ষের কোলে ঝিমিয়ে আসে পাখি
‘ঘুরে দাঁড়াতেই হবে’ বলতে বলতে সবাই অস্থির
এর বাইরে কিছু একটা ঘটে চলেছে
ছাদ থেকে দেখা যায়
ঠিকানা সরু হতে হতে ন্যাড়া হয়ে গেছে
বৃষ্টি ফেরি করার দল ততক্ষণে অন্য চোখে অন্য সম্ভাবনায়
ফিরতে পারি না মনভোলা
কত বাহানায় সামলে রাখি ভ্রমণ
সমুদ্র, তুমি নুন আর পানীয়ো তফাৎ করতে পারো না
পাহাড়, প্রতিটা বাঁকে গুমখুন না কি শীৎকারধ্বনি
ঘ্রাণ আসে হেঁটে যাওয়ায় একা একায় আদর
আগে ভাবতাম চার পাশে কেউ নেই অতএব, একা
যখন শব্দ শুনি পাতার, শ্বাস-প্রশ্বাস সুর ধরে মাটির সঙ্গে
সামান্য চোখ খোলায় ঝর্ণা বেরিয়ে আসে
কীভাবে পাল্টে যাওয়া আলো জোনাকি হয়ে যায়
শরীর ভর্তি অন্ধ মৃত্যু ভরা গুঞ্জন
ওই দুধের বোঁটায় জগৎ খুঁজি, খুঁজতে খুঁজতে নাভির গর্তে জন্মশিকড়
কানের ফুটোয় দৈববাণী আর
নাকের ভেতর দিয়ে ছুটে যাই মায়ের হাহাকার
যৌন ভাবো তুমি যৌন ভাবো তুমি যৌন ভাবো ভাবো
কিচ্ছু যায় আসে না
গন্তব্য, অপরাধ