শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
লেখার ওপর তোমার অপভ্রংশের ছায়া। এই তো সেদিন দেখা হল চৌরাস্তার ধারে। ডালপালায় মোড়া ভেঁজা কাঁথা নিয়ে চলেছ বাজারে। তোমার খোঁড়া পায়ে মহতের লাল নীল সুতো। ইতিহাস থেকে কিছুটা দূরে তুমি এক সূর্যাস্তের পাখি। প্রাসাদের দেওয়ালে বটচারার মতো নির্জন উপাসক। ওহে, কিংবদন্তি এসো, বোসো সভাকবির শিশ্নের উপর। তাঁকে আয়ু দাও। সাম্প্রতিক লেখাটির মহিমা প্রচার করো ভাঙা দরজায় বসে। কীর্তির দুপাশে যেন দুলে ওঠে ধূসর পাজামার ফুল।
বালিকার কান্নার মতো কয়েকটি পুতুলের নষ্ট চুলে লেগে আছে প্রথম বিবাহ। শুধু পথ ধূধূ নিরাশ্রয়, সংবাদপথ্য নেই, গ্রন্থসমূহের অভ্যর্থনা নেই।
তারপর শুরু হল সাঁকো। চায়ের দোকান টেনে নিল গল্পগুলি অধিক সন্ন্যাসীর মতো। গুজব জুটল। কিংবদন্তি ঢুকে পড়ল প্রবীণদের গল্পগাথায়। জনপ্রিয় পোস্টার তোমাকে বোঝাল এই উঠোন নৃত্যের অযোগ্য। দূর থেকে কিছু মানুষ ভাবল এবার ঝুলি ছেড়ে বেরোবে প্রকৃত বিড়াল। অসম্ভব নীল এক তাঁবুর নীচে পাওয়া গেল শান্ত লোকালয়। বোবা মানুষের জন্মদিন। প্রতিটি চোখ যেন এক করুণ বন্দর। আত্মধিক্কারের মতো পোষা ফুল পড়ে আছে অতিকায় মানুষের গোপন বাগানে। উত্তর দিকে তাকিয়ে এক প্রাগৈতিহাসিক সারেঙ একা একা হেসে চলেছে শুধু।
কোথাও মানুষ নেই। দিকে দিকে মানুষের ঘর। শূন্যে উড়ছে সংক্রামক রুটি। কিছু দূরে কুলিকামিনের দল গামছা পেতে অনিশ্চিত গল্প কুড়োচ্ছে…