শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
মাঝে মাঝে নিজের ছায়ার সাথে কথা বলি
এইসব একান্ত দুঃখের কথায় কেউ সুর দিলে,
সারিন্দা বাজালে, ভাওয়াইয়া হতো…
একটি নদীর নাম ঢেউসহ উঠে আসতো, মনে হয়
আগের জন্মে হয়তো গাছ ছিলাম, এই জন্মে মুখর মানুষ।
মাটি বিক্রি করি আর পৃথিবীর পেট চিরে একাধিক স্বর্ণডিম্ব চাই…
চমক শিখেছি কিছু, নৈঃশব্দের প্রয়োগ জানিনা
রসিকবিলের দিকে নিরাময় আছে, শোনা যায়
রাভা সুন্দরীদের সাথে হরেক সম্ভাবনাও
বাড়িতে না জানিয়ে একদিন যাওয়া যেতে পারে
ফিরবো কি ফিরবো না, ভালবাসা জানে…
একদিন ভোরবেলা পাখির আওয়াজ করতে করতে পৃথিবীকে ঠকাব। তোমার বাড়ির ওপর দিয়ে উড়ে গেলেও চিনবে না…
অসুখের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে এইসব ভাবি। ক’দিনের মহামান্য জীবন; মাত্র কয়টা দিন!
ভাল না বাসলে কী হল? বিছানার মাঝখানে বসে
শেষরাতে কী হল তোমার জন্য হাউ হাউ করে না কাঁদলে?
রাস্তা সুনসান। ভয় লাগে। মাশানের পাট থেকে কিরকম আলো বেরোচ্ছে, দেখো। লোকবিশ্বাসের ভেতর পায়চারি করতে করতে আজ এক গভীর আকুতি তোমার ঠিকানায় উড়িয়ে দিলাম। পাঠালাম বুকভরা কুপাবাঁশি, বিষহরা…
অপেক্ষা করবো কিনা, জানিও।