শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । বাংলাদেশের কবিতা
স্বপ্নস্রোতস্বিনী,
তোমার তমসে জ্যোৎস্নামাছ।
তার আঁধার-আমিষ
খাদ্যধর্মের মোকাম থেকে
তুলে নিয়ে
মরণের জীববিজ্ঞান শেখা-শেষে
কবির শহিদ শ্বাস
বিলি হতে থাকে
ওয়ান টাইম প্লেটে।
পৃথিবী-গুদামঘরে মজুতদারি
হাসিকথা, কান্নাকাহিনী
রাহু আর দেবী।
এখনও দাঁড়িয়ে আছি
ভাঙনের স্বরলিপি,
ভোরের ভাঙচুরে
বিকেলের মুখস্থ
যাবতীয় ব্যঞ্জনবর্ণ।।
কুসুমের ক্লাসে
নিরক্ষর রাত
সুরভিতে স্নাতক।
জাগো জাগো
মহামারীর মানুষেরা,
ঝড়ের গন্ধে
একবার নিভে গিয়ে
জ্বেলে দাও
রোদনের রূপসী মঞ্জিল।
যেন আর স্থগিত না হয়
ব্যথার দীপালি
বেদনার রোশন-চৌকি।
অন্ধকারেরও একটা
ঊষাকাল থাকে,
মৃত্যুরও যেমন জীবনপ্রণালী
তারার তছনছ থেকে
ঠাহর হয়,
মেঘভারাতুর ময়ূর।
যদিও কেকার গুচ্ছ
ধূসর বসন্ত;
আমাদের উন্মাদ-সীমান্ত
সমঝোতার কাঁটাতার
প্রশ্নটা পারাপার
উত্তর জরিপাড়
বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি
পঁয়ত্রিশ বছর
জাদুটোনা বা যুক্তির জীবন।
তুলাগদ্যের বালিশে ঘুমায়
গানের বেড়াল
মুহুর্মুহু মিউ মিউ থেকে
ছেঁকে তোলা নৃত্যের জল
ডুবে বেঁচে গেছি
নাকি মরে গেছি!
উঠোন এখন অমলাশঙ্কর
কে সেই সুন্দরী!
নাচ না নাচের পরি?
তোমাকে দেখি
কিন্তু ভালোবাসি
তোমার সংলাপের সমাধি।
বিস্মৃত-বিষ সাপের সিম্ফনি
তারপর তক্ষকতরুর
ছায়ার হাওয়ায়
মধুমালতীপুর।
সরোবর থেকে সংকেত-সাগর,
বিনাশের আয়ু
এক দুই তিন
বছর গোনে।
জ্যামিতিখাতায়
অপজন্মের ঢেউ ;
আরও একটি কবিতার।