শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
ঘুমের সান্নিধ্য পাওয়া কি এতটাই সহজ? নাকি এখনও রয়ে গেছে আত্মার সাথে আত্মকথা?
মেশিন বন্ধ হওয়ার পরেও জ্যান্ত ছায়ার রাজত্ব থামেনি। আমার সামনের ঘরে দুটো গাছ, তিনটে ছায়া।
তুমি ভ্রূণ হয়ে জন্মাবার আগেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছো পঞ্চমুখী জন্মকে। তোমার জন্যে অবিভক্ত শ্বেতচন্দন। তোমার জন্যে জুঁই-বেলির চৌকাঠ। কেবল তুলনামূলক স্পর্শ পেতেই জন্মের ঘরে ফিরে আসা।
নিজেকে ভীষণ কাছে টানতে ইচ্ছে করে। মলাট ছিড়ে দেখতে ইচ্ছে করে রক্ত-মাংসের অসহ্য যন্ত্রণা।
এই তো উড়নচণ্ডী চাওয়া, এই তো নিজেকে উদযাপনের রসদ। স্রোত চিরে বেড়িয়ে আসে নিয়ন্ত্রিত কোজাগরী।
আমি সর্বনাশা আঙুলে আদিম হই… সিঁদুরে-বারুদে কাঁটাতার দর্শন।