শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
কিছু প্রশ্নের খোঁজে পৃথিবীর হৃৎপিন্ডে টোকা মেরেছিলাম
আকাশের অজস্র তারাদের ঘর থেকে চুন সুরকির মত উল্কা খসে পড়ছিল
ছায়াপথের অ্যাজেন্ডা বোঝার আগেই কোলাকুলি করেছিলাম নক্ষত্রদের সাথে
দ্রাঘিমারেখা বরাবর হাঁটতে হাঁটতে কখন যে কাফের হয়ে উঠেছি বুঝিনি
আমাকে লক্ষ্য করে ছুটে আসা অসংখ্য গুলিতে আমার শরীর ঝাঁঝরা হলে
প্রশ্নগুলো আকাশের গায়ে ভাসতে ভাসতে দেখি কখন সপ্তর্ষিমণ্ডল হয়ে গেছে৷
পুরনো আসবাব থেকে মায়ের গন্ধ বের হয়
ধসে যাওয়া দেওয়ালের পাশটাতে পড়ে আছে পায়া ভাঙা পুরনো সিংহাসন
ছাল ওঠা লাল মেঝে
চারপায়া পুরনো খাঁটে খানিক গোটানো মশারি
টেবিলে ঢাকা দেওয়া হাতে বোনা চাদর
বন্ধ হওয়া টেবিল ঘড়ি আর পানের সরঞ্জাম
হারমোনিয়াম ঘিরে বিষাদের ছায়া ওড়ে
কলতলায় জমে থাকে জমাট দীর্ঘশ্বাস
বেশি রাতে বাড়ি এলে
ভেতর থেকে দরজা খোলে না আর কেউ
শুধু কানে আসে- কে, খুকি এলি ?
তুলসী মঞ্চের গায়ে জমে থাকা ঝুল-
বলে দেয় এ আমার শোনার ভুল৷