শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
তোমার ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে। ব্যবহার আসলে একপ্রকার আসবাব – একধরণের ইন্টেরিয়র ডেকরেশন! তোমার ব্যবহার আমাকে চা খাওয়ালো, ঘুরেঘুরে বাগান দেখালো। তোমার ব্যবহারে কত ফুল, কত পাখি। তোমার ব্যবহারে বারুদ নেই দেশলাই নেই। নেই দ্রুতগতি ট্রেনের ভয়ঙ্কর আঙ্গিক।
আমি তোমার ব্যবহারের পাশে একটু বসব? একটু আলতো মাথা রাখব তোমার ঐ ভেজা ব্যবহারের কোলে? রাখব?
তোমার
জ্যান্ত ব্যবহার যেন একটা পুকুর, ঢেউ নেই কিন্তু স্রোত আছে অল্প।
আমি একটু বসব, তোমার শান্ত স্থির স্রোতের কাছে?
তোমার সাজানো আসবাবের কাছে?
তোমার ব্যথিত ওই মনের খবর আমি জানি, রাখিও জড়ো করে তাহা। তোমার ব্যথা সন্তুর ব্যথা আরো অনেকের অধঃপতনের ব্যথা জড়ো করে করে একটা ব্যথার ঘরই তৈরি হয়ে গেল।
যেদিন তুমি ছেড়ে গেলে, ছেড়ে এলে কাছে, দূরে গেলে ব্যথার সমগ্রতা নিয়ে, সেদিনের তরঙ্গ—
লন্ঠনে বাজে।
এতো আলুথালু জাগরণ— ঘুম— ঝড়ের কাছাকাছি; মহানিমগাছে ওই আমাদের ব্যথার সংসার— পাতা হয়ে— ডালপালা হয়ে— ঝুলে আছে। তোমার চলে যাওয়ার বাতাস এলো এইমাত্র ওই মহানিমের ছায়ায়।
একটা কাক, একটা প্রাচীন চোখের জল, একটা অভিমান, অন্ধকার জ্বেলে, জীবাণু নিভিয়ে, উড়ে যাচ্ছে ঐ মহাসমুদ্রের ওপারে…
ক্রোধ একটি দৃশ্য হয়ে বেজেছে মনে আমার।
পিয়ানোতে আমাদের প্রথম চুম্বন রয়ে গেল ইঙ্গিতে।
এই ধুলোপথ ধরে চলো বাল্যের ফেলে আসা বলের কাছে যাই।
যাই পুকুরসাঁতার ও জোৎস্নার কোলাহলের কাছে।
ক্রোধ একটি দৃশ্য, যা দিয়ে আমাদের প্রথম চুম্বন রচিত।
পিয়ানোতে বাল্যের লাল বল সহজপাঠ হয়ে জ্বলছে।