শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
১
স্বপ্নের ঝুল বারান্দা থেকে উঁকি মারে যে হলুদ চোখ
তারও একটা সুবর্ণরেখা আছে,
সন্দেহের বাটারস্কচ কোনও উপসর্গ ছাড়াই
আঙুল আর অক্ষরের মাঝে কিছুটা সারল্য বুনে রাখে
আমি জ্বরের ঘোরে বিরহ খুঁজি
মধ্যপদলোপী পালক উড়ান খোঁজে ট্রাপিজের
এভাবেই তেহেজিব অভিসার
তোমার গা থেকে খুলে আনে বিষুবকাম
আমি জানি যা কিছু প্রত্যাশিত, শূন্যের ধাতুরূপ
কিংবদন্তি রাতের পাশে নির্লিপ্ত ঠোঁট-যুগল,
তোমাকে আবিষ্কার করে তোমার বিষদাঁত
২
প্রতিটা উচ্চারণে রুহ কেঁপে ওঠে। হে বৌদ্ধিক এস্রাজ
শব্দের ভিতর এ যেন নক্ষত্রজন্ম, আনন্দ মূর্ছনা
কোনও স্বপ্নদোষ নেই। ইজাযত জন্ম-জন্মান্তর
সাঁতরে চলেছি নিজের মধ্যে। আগুন ও উপশম
এ এক পরম্পরা, অবিরাম খুঁড়ে চলা নিজেকেই
অপেক্ষা ধুলো মাটি জল। অপেক্ষা ধ্রুপদ অন্ধকার
শুধু অগ্নি সাক্ষী। শব্দ জন্ম নেয়, একা ও উদাসীন
দেখাগুলো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর, নির্ঘুম ছায়াপথ
শিয়রে জেগে থাকে জোৎস্না। পাহেলু ব্রহ্মচারী
এখান থেকেই আমার আলো, আমার আকাশ দেখার শুরু