শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
আবার রাত হলো
আবার নেমে এলো
দুচোখে ঘুম…
জড়িয়ে শুয়ে থাকি
জীবন যৌবন
জড়িয়ে শুয়ে থাকি
জবা কুসুম!
কেন যে শুয়ে থাকি
কেন যে উঠে পড়ি
কেন যে ছুটে যাই
শুধুই মাঠ…আমাকে বুঝে নেয়
গ্রামের পাঁচ জন
আমাকে বুঝে নেয়
শহুরে লোক!
আমি কি কেন আমি
দাঁড়িয়ে থাকি রোজ
বাটার মোড় আর
টাউন হল…
আবার দেখা দেয়
অচেনা সংঘাত
বিজ্ঞাপন মাখা
বিশাল লোক…
এখানে হেসে ফেলি
ওখানে ঢেউ রাখি
এখানে নৌকায়
ছলাৎছলাৎ
সকালে ডাকে পাখি
আগুনে হাত রাখি
আগুন খেয়ে রোজ
বেড়াতে যাই…
এখানে এর বেশি
কী বা মাংসাশী
গান ও গল্পের
জলসা হয়!
কোথাও কিছু নেই
দাঁড়িয়ে উঠলেই
ছুটিয়ে নিয়ে আসে
লোকাল ট্রেন।
আসলে সবকিছু
নাটক ছায়াছবি
এখানে ওইখানে
অনেক ড্রেন…
লাফিয়ে চলে যাই
আবার লাফ মারি
ছাদের উপরে তো
স্বর্গ নেই…
কোথাও কিছু নেই
গর্ত জলাভূমি
জীবন আসলে
এমনি, এই!
আজকাল বুঝি, আকাঙ্ক্ষা করি না…
কিছু কিছু না হওয়া টের পাই
আর কোনওদিন সেসব হবে না
হারানো গন্ধের মেঘ কালো হয়ে ওঠে
মাথার উপরে
এত জল, স্বপ্নসম্ভব ভূমি ত্যাগ করে যাই
অসমাপ্ত কবিতার মতো পড়ে থাকে হাওয়া
ক্রমশই লঘু হয়ে আসে ক্রোধ…
সহাস্য বৈরাগী এক ঘুরে যায় ছায়ার উপরে
অজানা ঘুমের মতো ক্লান্ত এই
সফরের শেষে…
নিজেকে হাসির মতো খেয়ালি খোয়াব মনে হয়!