শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
আলো, যখন সঙ্গ করে,
বোষ্টমীর স্নান আহ্নিক হয়না!
কন্ঠীবদল, পূর্বরাগ, সব সাধনের
বাঁধন ছুটে যায়!
যে যার সঙ্গে যায়, যায়,
যে যার সঙ্গে আসে, আসে!
তার ছিঁড়ে বাঁধে গোঁসাই!
রাধিকার মন ওঠেনা!
কেমন যেন বেসুরো বাজছে দোতারা !
ও দিকে, টুসুর লগন, আসঙ্গ মেঘ,
বিরহের— পলাশ, পলাশ!
মেঠো পথে, লাল ধুলোর মাতন লাগে!
ওদিকে, মহুল ডাকে!
উজাড় করে বাঁশি বাজায়!
পথে পথে ঘুরবে কি, সে?
দেখা হবে? চিনবে তখন?
আলোর সঙ্গে, বোষ্টমীর,
সঙ্গদোষে, ঘর হয়ে যায়!
রসকলীর কলায় তার হাত কাঁপে !
চুয়াচন্দন মুছে, এবার পথে নেমেছে !
কোথায় কালা? আলো এসে,
জাপটে ধরে দীঘল শরীর !
বিহান বেলার কচি আলো,
দুলতে থাকে ক্ষেতের শেষে!
বিকেল বেলা ঘরেও ফেরে, বাঁশি বাজায়।
সবাই বলে, বসন্তে,
বোষ্টমের ঘর ভেঙেছে, এক দস্যু পাগল!
মহুয়ার কাহন ওড়ে রাতের গাঙে,
মাদলের তালে তালে,
নাচতে থাকে যুগল শরীর!
ফাগুনের ঘুম ভেঙে যায় !
প্রিয় হন্তারক,
তোমার পৃথিবীর আমি খোঁজ পাইনা।
যেমন, উত্তর গোলার্ধ জানেনা,
দক্ষিণ কেমন আছে।
তবু, রৈখিক মাপহীনতার মাধ্যমে
আঁকা ছবি, তুলু লোত্রের মতো—
হাত, পা-ছাড়া,
হৃদয় সর্বস্ব ভাগীদার, এই পৃথিবীর!
ইন্তেকাল এলে, মেহের আলীদের,
ডাক পড়ে। তোমার
আলোর আমি, খোঁজ পাইনা! তুমিও—
লুপ্তপ্রায়! স্মৃতিপটে, অজন্মা প্রতিরূপ, আগাছার মতো বাড়ে।
আমাদের আখ্যানবর্তী, কলাকুশলীরা টের পায়, গ্রহণ লেগেছে!