শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । বাংলাদেশের কবিতা
তেমন রহস্য নেই, খড়মাটিবাঁশের কাঠামো
অবসরে নিজেরা বানাই। তুলি বোলানোর পরে বলি,
‘আহা কী লাবণ্য, দেখ, ভক্তের বিস্ময়!’
আমি কি বুঝি না কিছু? তোমরাও যথেষ্ট সেয়ানা
সকলেই নিয়োজিত মগডালে, গাছের তলায়
যদিও কেবল অর্ধভুক্ত ফল, ধুলোমাখা আঁটি পড়ে আছে
কবিতায় অবান্তর যতিচিহ্ন এনে
আমি ভাবি, এ তো এক ব্যাহত সঙ্গম। বারবার থেমে গেলে
উত্থানের বড়ই বিপদ!
কেউ কি তোমাকে খোঁজে, কেউ কি নাচায়?
শিমফুল ফুটে আছে উঠোনে, মাচায়
মাঠের ওপাশে দেবালয়
তুমি তো জানো না কিছু, কোথায় কী হয়!
দিনমান মাছ ধরে ফিরে আসো ঘরে
আসলে ভেতরে
পুষে রাখো আরো বড় শিকারির রোখ
বাঘিনীর পায়ের ছাপেই চোখ
বীতকাম, বীতশোক ভেবেছে অনেকে
পথ গেছে বেঁকে
গাভিন শস্যের দানা নুয়ে পড়ে রোদে
আসমুদ্র সুর ওঠে হাওয়ার সরোদে!