শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
একটা কম্পাস দিয়ে চোখটা খুবলে দিলাম। ভুরভুর করে বেরিয়ে আসছে কালো পিঁপড়ের দল।পর্দাটা বহুদিন ধরেই অস্পষ্ট আর বিবর্ণ।চলমান ছায়াছবির স্রোত। এখন পর্দা ফেটে নান্দনিক দৃশ্যগুলিতে ঢুকে পড়ছে কালোকালো ক্ষত। কব্জি থেকে কাটা একটা হাত লাফাতে লাফাতে নেমে এলো রাস্তায়। হাতঘড়ির বিষণ্ণ কাঁটাদুটো ডানা ঝেড়ে জল ছিটোচ্ছে শূন্যে।ক্ষীণতনু মেয়ে ফুচকাগুলো ভরে নিচ্ছে ঘন রক্তজলে। উদ্বেগের শেষ নেই। আশঙ্কাও পাহাড়প্রমাণ। ভারী একটি শিশুকে হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে টেনে নিয়ে যাচ্ছে উদাসী মা। গাধার ডাক তুলে ভিড় করে আসে জনপদ।পৃথিবীর শেষ (মৃত) শিশুটিকে ঘিরে আজ উৎসব। হাতে মৃত প্রজাপতি।
তোমার যোনিতে আমার কাটা আঙুল। ছটফটাচ্ছে।ডাঙায় উঠে আসা কইমাছ। শব্দ হচ্ছে ফড়ফড়ফড়।যোনি থেকে বেরিয়ে আসছে ফেনা। আঙুলের গোড়া হতে রক্তের স্রোত উরু বেয়ে অযুত ধারায় বয়ে যাচ্ছে অসীমের দিকে।নীরব দর্শক নও। তুমি এর রচয়িতা ও উপভোক্তা। খনির অন্ধকারে একক আঙুল। খুঁড়ে যাচ্ছে মাটি একা এক সাধকের মত। বিরাট কৃষ্ণগহ্বরের অতিকায় ছায়া ঢেকে দিচ্ছে মানুষের সবকটি মন। অস্পষ্ট হতে হতে বিযুক্ত আঙুল এইমাত্র লুপ্ত হয়ে গেল বিষণ্ণ উদাস মহাজাগতিক পাতালে।