শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । বাংলাদেশের কবিতা
প্রেম তো বুকে আছে প্রেমিকা দূরে তবু
থাকছে ভুল বুঝে আমিও ভুল করে
যাই না কাছে আর; আগুন জ্বলে গেলে
পুড়িয়ে নিজেকেও পোড়াবে বাকি সব
গানের স্বরলিপি সকলি গান নয়,
ডাকতে এসে রোজ না ডেকে ফিরে যাই
তবুও আশা থাকে কখনো দেবে সাড়া;
হঠাৎ একদিন আমিও দেবো ডাক।
বোবার ভাষা নিয়ে জীবনে বহুবার
ভেবেছি নিজ মনে; চোখের জ্যোতিহীন
লোকের দিকে চেয়ে ভেবেছি কতকিছু
কী করে জীবনের পথটা পাড়ি দেয়?
আমার স্বর আছে, তবুও ভাষাহীন__
মূকের ভূমিকায় কাটিয়ে দিনরাত
ভুলিনি লোভী চোখ; দেখেছি মুসিবত:
এগিয়ে আসে ধীরে ভুলের পথ ধরে।
হঠাৎ একদিন আমিও দেবো ডাক
অন্ধকার থেকে তোমার নাম ধরে
ডিমের ভেতর আদম ফোটে হাওয়ার বুকের তাপে
স্বর্গচ্যুতির কারণে নয়, কেঁদেছে সন্তাপে
আলোর নদী পাড়ি দিয়ে অন্ধ হলো দিন
বন্যতাকে তাড়িয়ে বেড়ায় উঁচিয়ে সঙ্গীন
তিনশো বছর কেঁদে আবার হাওয়ায় ওতপ্রোত
পাঁজর ছেঁড়া আদিম নারী বেদনাসম্ভূত
স্নানযাত্রার পর্ব শেষে এসেছে সন্তান
খুনের ভেতর খুন জেগেছে– রাখেনি সন্ধান
ভ্রাতার হাতে নিহত ভাই, চিত্তে অবসাদ
দ্বন্দ্বমুখর জীবন প্রদীপ, –রক্তে ভেজা হাত
হস্তরেখায় ভুল ছিল না,আত্মাপহারক
ভয়ের দিশায় ফেরার জীবন রেখেছে বন্ধক
পিতার তবু কাঁদে হৃদয় কাঁদে প্রাণের বায়ু
আদিম মাতার বক্ষে পাষাণ রুদ্ধ পরমায়ু
পাষাণ ভাঙে পাষাণ পোড়ে বক্ষে পাষাণভার
চিত্তদাহে পাপের হরণ, জেগেছে এত্ বার
রৌদ্রে জ্বলে লক্ষ বছর সাংখ্য-জাগতিক
কোরান মানে মুসলমানে হিন্দু পূজে ঋক
পিঠের ওপর বইছে বোঝা ধনুকভাঙা শর
পাথর থেকে জীবন খোঁজে মৃত্যু অতঃপর