শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
১
না নাই!
সে আর থাকেনা এখানে!
কিছুদিন হলো কাঁথা-কম্বল যাসব ছিল-
পুঁটলি বেঁধে চলে গেছে।
সেই কাঁথায় আমি যে ঘুমাইনি তা নয়!
তবে দীর্ঘদিন হওয়ার ফলে কিছু ছারপোকা এসে বাসা বেঁধেছে।
শান্তিতে একটুও ঘুমাতে দেয়নি।
সেসব ধুয়ে ভালো করে রোদ্রে শুকনো করে,
ফিরবে বলেছে আবার।
টিনের বাক্স থেকে উড়ে যাবে ঝাঁক ঝাঁক ঝোড়ো পোকা।
২
লগ্ন মিথ্যা হতে পারে নিমেষেই।
গোধূলি অনেক দেরি করে নামে এ শহরে।
তার আগেই গুছিয়ে নিতে হয় আশা, উদ্বেগ। পুঁটলির শেষ গেরো টেনে দেওয়ার পর-
ফিরে যেতে হয় প্রত্যন্ত বসন্তে।
বেহায়া উজানের মতো সেই ভোরে মেলে দিতে হয় ডানাজোড়া।
বেঁচে থাকার নান্দনিকতায় দিন দিন ঘোলা হয়ে আসে –
উৎকন্ঠা আর মাছেদের চোখ।
তবুও একাকী কাক ভাড়া খোঁজে,
সম্বলের বিনিময়ে।
কখনো ভিখিরির মতো দাঁড়াবোনা এ শহরে হাত পেতে।