শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
ঘুম থেকে উঠে বেশ কয়েকবার আমি মৃত্যুর মতো
নির্জন কুয়াশা ব্যাথায় পাশে পাশে হেঁটে গিয়েছি
বেড়ালের মৃতদেহ নিয়ে
অবশ তেলপোড়া আলোয় ঘাম মুছেছি
উপকূলীয় অঞ্চলের মৃত মানুষের
বসন্তের দিনগুলো কাঁপছে তখন
অথচ তখনও কেউ কেউ অপেক্ষা করছে
দুর্গম পাহাড়ে শুধু মৃত ঘোড়াদের আত্মা
এগিয়ে দিচ্ছে খাবারের টুকরো…
একটা ঝড়ের কবলে পড়েছিল সে
একা আমি ছাড়া
আমার শৈশব থেকে এসেছিল কল্পকাহিনীর
অতৃপ্ত বালকের স্বপ্নের মতো মৃত্যু
শুধু, ভোরের আলো এসে পড়েছিল
সেইসব মুহূর্ত সমাধির গায়ে
একটা বৃষ্টির ফোঁটা যখন তার স্বপ্নের মধ্যে
ঢুকে পড়েছিল।
একা, একা হয়ে যাওয়া প্রত্যেকের মধ্যে
আমি খুঁজে পাই একটা ঝড়
ঝড়ের ভেতরে একটা নিঃসঙ্গ মানুষ
সূর্যাস্তের দিকে চেয়ে আছে
নক্ষত্রের আলো এসে পড়ে তার স্বপ্নের পাত্রে
কয়েক হাজার বছর আগে
যে পাত্রে আমি নিজে একদিন
তোমার জন্য জল রেখেছিলাম
তুমি একটানা সেই জলে অশ্রু ফেলে
নিঃস্ব করেছ আমাকে
এখন আমি সর্বস্বান্ত পথের ব্যথা
আমার শরীরে আঁকা গভীর ষড়যন্ত্র।