শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
যেভাবে তাকালে তুমি
মেঘও হয়ে গেল পৌত্তলিক
এই তো একটু আগে
হারানো চাবির মতো খুঁজেছি তোমাকে
এখন তোমার পায়ে আঁকব অলস একটি কুহু
নাভির সমুদ্রে নৃত্যমনস্ক একটি কেকা
ছিন্ন শ্রাবণ আজ, এক পশলা বিভ্রম
ঘনিয়ে উঠুক তোমার মাথার ওপর
পৃথিবীর কোনো প্রেম আজীবন সফল হয়নি
এইসব তত্ত্বকথা ভুলিয়ে তোমাকে নিয়ে
নতুন গল্পের দিকে চুলের কাঁটার মতো
বাঁক নেওয়া রাস্তায় যাব
দূর পাহাড়ের দিকে মুখ করে ডেকে উঠব
আছো?
শরীর ও স্পর্শের মাঝে যেসব নক্ষত্রবীথি থাকে
ভাষা ও চুম্বনের মাঝে যত জলবিভাজিকা
অশ্রু ও উল্লাসের মাঝে
সুরে সুরে আলোকিত যেসব ক্ষুদ্র আয়ুকাল
তারা সব বলে উঠবে
এসো!
সেখানে দাঁড়াব গিয়ে
গোপনের স্নানঘরে
আলো হব
সাবানের গন্ধ, ফেনা,
জলের শব্দ হব
তোমাকে মৃণাল ভেবে পদ্মগোখরো হব
কাচের মূর্তি ভেবে হয়ে যাব হঠাতের রোদ
উদ্দাম পাহাড়ি পথে নদীর বিস্তার হব
ঢেউ হব সমগ্রে তোমার