শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
দূরত্ব নিয়ে অন্ধকারের গায়ে
আমার গতির কারুকাজ
লুফে নিচ্ছি না
একের পর এক দৃশ্যমন
দলা পাকানো রাতের
ঘনত্ব কাটাচ্ছে ঈশ্বর
আমার মাথায় এখন আর
অক্ষরের সরঞ্জাম নিয়ে
শব্দেরা যুদ্ধ করে না
অ্যাশট্রের ভেতর যেভাবে
গতরাতের নেশাড়ু অপেক্ষা
পুড়তে থাকে
ধোঁয়াটে রাস্তা পেরিয়ে যায়
বিচিত্র সব শরীর
সেইখানেই জমাট বেঁধে আছে
আমার দূরত্ব
উদ্দেশ্যহীনতায়
মাঝে মাঝে মনে হয়
এক থালা অন্ধকার গুঁড়ো করে
শুয়ে আছি ঘাম জমানো বিছানায়
বালিশ চাপা গন্ধে পিঁপড়েরা আমার
অতীত টানতে টানতে স্বপ্নের লালা
পরিষ্কার করে দিচ্ছে
বিষন্নতা বড়ই নেশাখোর পা
শুধুই চলতে থাকে বাঁ পকেটে
হাত রেখে ঘুমের খুচরো শব্দে
ওই দূরে মানুষ ডাকছে কেন
কীসের প্রয়োজন লোকালয়ে রেল স্টেশন
ফাঁকা বলে কিছুই নেই
তুমি কি শূন্য নাকি গেলাস ভর্তি অজুহাত
শিশুভূমিতে জোনাকির আনাগোনা বাড়ে
কাঠের সিঁড়ি মেঘের দরজা রাতের সিনেমা
চিত্রনাট্যে ঘুম মেশানো থাকলে, ভনিতা করে মৃত্যুর
আদুরে হাওয়াও বোধহয় ভুল কবিতার অঞ্চল