শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
ইউক্যালিপটাসের বনে উড়ে গেছে শেষ বেলাকার মৃদুজল
তেমনি উড়েছ তুমি, বলা ভালো উড়তে শিখেছ
পোড়ানো চিঠির থেকে উঠে বসে নতুন চিঠিরা
সহস্রারের পাপড়ি খুলে আমিও জেনেছি সব নদীর মোচড়
তীর জুড়ে প্রত্যালীঢ় বকের ছায়ার থেকে শিকারইঙ্গিত
উড়ুক্কু সসার যেন ঢুকে যায় আমাদের যৌথ বিছানায়
সেখানে পুঁতেছি আমি ঘেঁটুফুল, শেয়ালকাঁটার ঝোপ
কে ওড়ায় এমন ফানুস, নেশা দাও নেশা দাও ও ফকির
ধাঁধালাগা চোখে আমি বালিয়াড়ি খুঁজে ফিরি
খুঁজি মরীচিকা, উটের কাফেলা আর খুমিশের ধারা
কালপুরুষের গাছে ঝুলে আছে মাছমেয়েটির রাতের পোশাক
শেষ অব্দি সে শুধুই পাথরের কোলাহল
এ-হাতে কয়লার দাগ, পশুর চর্বিমাখা এ-প্যালেট
হাড়ের প্রদেশ থেকে ভেসে আসে মজ্জার গান
সিঁদুরে মেঘের কিস্যা, ফতুর একটি রশি
তার স্বগতোক্তি যত, মুখে ফেনা তোলা যত বুলি
বৃশ্চিকচিহ্নের মাঝে ফুটে ওঠে নখ
ইচ্ছেপিঁড়ির ওপর সাজানো তৈজস
ফুলদানিতে রেখেছি দাঁড়কাক
চাঁদের প্রলাপ মুছে অকালবৈশাখী
বরফে শোয়ানো মাছ, সে-ও কথা বলে
গানে ও চাবুকে ডাক দেয় হাওয়ার হারপুন
জ়েব্রাক্রশিং। ছুটে যাচ্ছে অন্ধ বেড়াল
কেউ যেন ইচ্ছে কিমা করে কাঠের গুঁড়িতে
জল কাটে জিভের কোরকে
ফুটে ওঠে বুলেটের দাগ