শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
লোহার গেটের বাইরে বাড়িটির নাম লেখা-
‘অবকাশ’
‘অবকাশ’ বাড়িটির সামনে এসে দাঁড়াই
বাগানে মেঘলা ফুল, ছাদে দিগন্তের ঘোর লাগা রং
দূর দেশ থেকে কারা যেন বারান্দায় এসে নামে
শীত করে ওঠে খুব , ঠোঁট ফাটে অভিমানে
পুরনো হলুদ ঘাস
দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে যায়-
যে কাঠের সিঁড়ি উঠে গেছে দোতলায়
সে জানে, মহান অবজ্ঞার কথা…
চলে যাওয়াগুলো দেবদারু গাছের মাথায় স্থির হয়ে আছে
‘অবকাশ’ বাড়িটির সামনে অনন্ত দাঁড়িয়ে থাকি
লালমাটি পথ বেয়ে দূরে মিলিয়ে যায় রিক্সা
লরেটো হাউজের মেয়েটিকে
এখনো সাঁওতাল গ্রাম ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে হাওয়া
পুরনো হলুদ ঘাসে ডেকে ওঠে সোনালি তক্ষক
‘অবকাশ’ বাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে বুঝি
বন্দর পাল্টে ফেলা ছাড়া আর কোনো ধর্ম নেই
ফিরে আসার সমস্ত অবকাশ মুছে গেছে ভ্রমে
বাগানে মেঘলা ফুল, বারান্দায় খুন হওয়া আলো…
এমনও তো হতে পারে, আনমনা ফাল্গুনে
কেউ এসেছিল, বাগানের ঘাসে তার চিঠি পড়ে আছে
এমনও তো হতে পারে, পুরনো কাঠের সিঁড়ি
উঠে গেছে ধুলোপড়া ছবিদের দেশে
কেউ এসেছিল, বারান্দায় হেসেছিল সাদাকালো রোদের টি-পট
হাওয়া এসে খুলেছিল দরজা, দূর থেকে অভিমান এঁকেছিল ছায়া
প্রতিধ্বনির দিনে বহু পথ পেরিয়ে যে এসেছিল
আলোময়ী ফিরবে না, এই কথা জেনে
এলোমেলো ফাল্গুনে ফিরে চলে গেছে …