শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
১
আসলে বিচ্ছেদ ফিচ্ছেদ কিছু নয়,
শীত আসবে বলেই তোমাকে চলে যেতে হচ্ছে।
নাহলে এমন পদ্যসম্ভবাকে অদৃষ্টের হাতে কেউ ছেড়ে দিত না।
তাকে নেড়েচেড়ে, আঁটি ভেঙে শাঁস, অস্বস্তিতে পত্রমোচন-
এসবই ঘটছে এবং বারংবার ঘটে যাওয়া বিভ্রান্তিসমূহ।
শঙ্খের বোতাম বিজড়িত পাটভাঙা পাঞ্জাবির দুরন্ত মেধা
কফি ব্লসমের মতো সাদা সাদা থোকা থোকা ফুটে থাকা ভুল;
ছুঁয়ে দিলে আজীবন পাথর পাথর।
ভূতে পাওয়া অপেক্ষা নিয়ে এখন সমস্ত ইতিকথা
না-খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া সেইসব বসতির মতো
অন্ধকার জড়িয়ে শুয়ে আছে
যাদের বিমানসেবিকারা কোনোদিন ঝুঁকেও দেখেনি।
২
পাতা ঝরবার তাই ঝরে
তাই নিয়ে কবিত্ব করেছ;
আলোয়ান ফুটো তবু হেমন্তরোদ্দুরে তাকে
ভরসার মতন মেলেছ।
মাসকাবারের ঋণ যতখানি অশান্তি আনে,
ততখানি সান্ত্বনামূল্য তোমার ওই ঝাঁপিতে নেই জেনেও;
চেষ্টায়, ক্লান্তিতে শরীরে ঘুম আসবার তাই আসে।
হৃদয়ের একাংশকে দাহ করে ঘরে ফিরে এলে
শোক যে নামবার তাই নামে।
চেষ্টা করো, চেষ্টা করে যাও।
একদিন এসবই খুব স্বাভাবিক ভাবে নিতে পেলে,
হয়ত ওদের জন্য হাহাকারটুকুও থাকবেনা-
শুধু দুটো রুটির জন্যে মরে যাচ্ছে যেসব কবিতা।