শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
১
এবং আমাদের মাঝে সেই সব আলো
ক্রমে নিভে যাচ্ছে এমন সব ছায়া
তাদের দেখা যাচ্ছে না… ভান করো
তাদের সুরত মোমের পুতুলের মতো
চোখ থেকে ঠিকরে রয়েছে কাজল
কণ্ঠা থেকে সমাপ্তিসঙ্গীত… আমাদের
এসবই কাল, আমাদের ভালবাসাবাসি
মেরুন রঙের সেই সব সন্ধের ভেতর
জ্বলা অন্ধকার… নিয়তি বলতে নির্ভার
হাতের কথা, আলুথালু বস্ত্র আর খই ওড়ার
মতো পতিতাপল্লীর ওপর পড়া নক্ষত্র
আমাদের দেখা যাচ্ছে ক্রমে নিভতে
সুরত পুতুলের মতো, দাহ্য গাত্র
কাজলের মতো ভবিষ্যৎ, আবিষ্ট মেরুন রঙের
কালগুলি চলে যায় সেই সব সন্ধের ভেতর
২
এবং আমাদের মাঝে ঈর্ষার কেয়ারি হয়েছে
রাত রঙের ভেতর জ্বলে ওঠা আলো, আর কেয়ামতের দিন
তোমার ঊরুতে বিছা আঁকা উল্কির ওপর
মাখন পরত…. যায় ওই ফসকে আলো, যেন আমের মুকুলে
গভীরে তার মাটি, শূন্য মূলখানিও… স্ববিরোধ আমাদের
খেলার অছিলা… তাহাতে থোকা থোকা কেয়ারি হয়েছে
ঈর্ষা নামে শিশুগুলি সেখানে জল দেয়, পেচ্ছাপও করে
ঊরুর ভেতর দিয়ে পথ, সামনে মুকুল বন
আর মাখনের পাশে ছুরি আনচান করে ওঠে, যেভাবে যুবতী
নাগরের কাঁধে শেষ কামড়টি… দাঁত তার মুকুলে ফুটেছে
ফুটেছে অযুত ফুল, বিষের ভেতর… গোছা গোছা
আর ঊরুতে ফুটেছে বিছা, আর তার দংশন গভীর