শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
ঘরের এক কোণে আমি রোজ
গুমরিয়ে মরি। তুমি দেখতে পাও না?
বিসমিল্লা খাঁ আর কাশী বিশ্বনাথ
আমি মুক্তি চাই হে ভরতবংশীয়
আমাকে বধ করো। এখুনি এ মুহূর্তক্ষণ
নচেত আমার হাতে বধ হবে তুমি।
আমি দ্বিমেরুরোগ।আমি চতুর্বাহু
আমি মুক্তি চাই।বধ করো।আমাকে।বধ করো
অন্যথায় বিষ।আমিই ছড়িয়ে দেব
অগণিত রমণীরমণ।তুচ্ছ মনে হবে
আমি জ্বালিয়ে দেব সাম্রাজ্য তোমার
আমি লুপ্ত করে দেব অক্ষরশিল্পীদের
আমি সমস্ত কবিকে হত্যা করবো বন্দুকে
হে অনন্য। বিসমিল্লা খাঁ
হত্যা করো আমাকে এক্ষুণি
অথবা আশ্রয় দাও
দুদণ্ড জিরোই।
মৃত্যুর পর কবির কাব্যগ্রন্থে ভরে ওঠে তাক
বারবার খুঁজি তাকে বর্ণমেলা মিলিয়ে মিলিয়ে
মলাট উল্টে দেখি
উল্টেপাল্টে দেখি প্রিয়তমা কবির চরণ
বানানের ভুল খুঁজি না আর
মাত্রাবৃত্তদোষ খুঁজি না আর
ঘোরবাধ্যতাদোষ কেটে যায়
কেটে যায় ঘোরবাধ্যদোষ।
রক্ত উঠে আসছে মুখে
বারবার চাবি খোলা, চাবি দেওয়া দরজা জানলা
তাকভর্তি বই তোমার
তাক ভর্তি বই জড়সড়
এত আলপনা আর যুগলবন্দি স্তোত্রপাঠ
কবির মৃত্যুর পর আমার ঘোরবাধ্যতাদোষ
নড়েচড়ে বসে
মুদ্রণত্রুটির মতো ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল
অকালে পদ্ম ঝরে যায়।