শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
বস্ত্রহীন রাত্রি দেখি আমি
দেখি বিছানায় বইছে
গরম হাওয়া
শ্রীরাধার ক্রমবিকাশ দেখি
আর দেখি শ্বাসকে নিজের করে পাওয়া
প্রথমে থাকে বালিস্তম্ভ
মরুভূমির যেমন প্রবাদ
এই দেখলে জল আছে
তাতে ভেসেছে সংবাদ
তোমাকে তপ্ত করে চাঁদ
আশ্রমমাতা দেন শান্তিবারি
পৃথিবীতে তৈরি হয়নি সময়
তবুও তোমার বড্ড তাড়াতাড়ি
জানি এ অরণ্য নয়
কেবলই বাগান
কিছুদূরে বাড়ি লোকলজ্জা ভয়!
তবুও দেখ এই যে সুরধুনী চলে গেছে
গতিপথহীন কতবছর হয়ে গেল
তবু নদী আজও অমলিন
নদীও তোমার মতো
আজ আর অবশিষ্ট নেই
তবুও তটিনী তোমায়
শুধু তোমাকেই মেসেজ পাঠাবেই।।
এখনও ঝড় ওঠেনি খুব
তবুও এই নদীর ধার ধুলো
ধুলো ধুলো ধুলোময়
এক-একটা ঝাপট যেন প্রতিদিনের জীবন প্রবাহ
গরু দুটো উদভ্রান্তের মতো ছুটে যাচ্ছে
কী আশ্চর্য গৃহস্থ ওদের বলেইনি এর নাম ঝড়!
একসময় এই নদীর গর্ভ থেকেই উঠে এসেছিল
কোনও তাণ্ডবই চিরস্থায়ী নয়
শুধু স্মৃতিচিহ্ন থাকে
বারুদের ছাপ
আসলে তুমি মিশে যেতে পারোনি জলের সঙ্গে
তাই এতো প্রদাহ সারাক্ষণ ঘিরে রাখে তোমায়
আসলে তুমি মিশে যেতে পারোনি বালুকণার সঙ্গে
তাই এত গর্ব।তুমি মানুষ।
এখনও ঝড় ওঠেনি খুব
কেবল কয়েকটি বজ্রপাত
আর এই দীর্ঘ যাত্রা
মনে পড়ে পান্থশালা।
নিরাপদ আশ্রয়।