শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
পরের দুপুর ব্যথার নিশি হতাম!
হ্যাঁ— বলেছেন
অপয়া এক গ্রামে!
রিক্সাচালক ছদ্মবেশী গায়ক
খড়ের চালে খেজুর রসের ব্যথা পার হয়ে যায়
ইষ্টিকুটুম দীঘি!
দীঘির জলে একটা-দুটো ঘটনাময় তারিখ
একটা-দুটো তারিখ-ভাঙা ঠোঙা
ঠোঙার ওপর ঠোঁট বাঁকানো চিরহরিৎ চিঠি
চিঠির নিচে সই করা সেই অনেকদিনের হাওয়া
হাওয়ার ব্রিজে দুঃখ ফোঁটা-ফোঁটা
নৌকা খোলা হারমোনিয়াম সাঁতার কেটে-কেটে
বাতিল কোনও ঘট বসানো ঘাটে
না-ফুরোনো দিনের কথা বলে।
হাত-পা নেড়ে বকুল-বকুল পাড়া। পাড়ার কোনও পিপাসাময় বাড়ি
দু-পৃষ্ঠা ছাড়। তিন-পৃষ্ঠা রশ্মি ছেঁড়া-ছেঁড়া।
দরকারি রোদ অদরকারি দলিল সায়াহ্নদের চিলেকোঠার খাটে
মুখস্থ বয় দূরাশ্চর্য জলে
এমন সময়, ও কোজাগর, তুলনাহীন
সুদূর অসম্বলে
কেন যে পথ কেন যে নথ কেন যে ধার-দেনা
উদয় হলে নিরন্ন মন
ভ্রমণপ্রিয় হেনা!
কপাল যেন উদাস পথিক দুর্ঘটনায় ভরা
বাঁ-পাশ দিয়ে ডানপাশে যাই এমনই তার টান
এমনই মাঠ এমনই মুখ এমন অধিষ্ঠান
মাটির তলায় প্রসন্ন দৌড় মাটির ওপর স্থিতি
নাম ছিল না
কেবল নিচে একটুখানি ইতি
একটুখানি বিলাস এবং টুকরো-টুকরো বোতাম
জানতে না রোদ মধ্যমাতে
পরের দুপুর
সব স্টেশনে ব্যথার নিশি ক্বচিৎ কলস হা হা নিষেধ চূর্ণ-পথিক হতাম!
নামভূমিকায় কাটালে দিনমান
হাতের আগুন উপোস গেল কিছুই কি নেই লেখার মতো সামান্য বুজরুকি
এ-ঘর ও-ঘর পুত্র-স্বামী। তেলের ওপর দূর বাদামি নিরীহ দেবযান
একলা হলে একটু বেরোই একটুখানি ঢুকি!
নিজের বলতে নাবাল জমি খাতা-কলম হারিয়ে গেছে—
অসহ্য লোক। আকাশ থেকে হাজার অপমান!
অথচ সেই অভিনয়ের বর্ষাভেজা রাতে—
নিজেই এসে ডাকলে আমায় বংশী-কাঙাল নৌকাতে নৌকাতে!
ছলের জলে পা বাড়ালাম পিছল কেটে পড়ব বলে
যেন তোমার চোখের কাজল রাতদুপুরে খিড়কি ভেঙে পালাবে কোন্ পাখির জ্বরে
পিছন-পিছন ছুটব আমি
এ-ঘর ও-ঘর আয়না-ভাঙা কাচে
এখনও সেই দৈববাণী ঝড়ের বেগে সেই কালিমা কন্ঠে লেগে আছে!
ওষ্ঠপ্রধান তোমার ছাদে
এত লক্ষ বছর বাদে আবার দেখ তাকাও দেখ এক অঙ্গুরি বিষে
সেই দাঁড়ালাম
কাছে গেলাম
চিনতে যদি পারো!
আগের মতো আবার যদি বলো—
ছাড়ো! ছাড়ো! ছাড়ো!