শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । কবিতা
চারিপাশে ছড়িয়ে আছে লতা
লতাদের সঙ্গে হোক কথা
ভ্রমরেরা ওড়ে
আমি শুধু পরাগ মিলনের বার্তা পাই
আমি শুধু তাদের গুনগুন কুড়িয়ে
বাড়ি ফিরে যাই
সচকিত নিবেদন
রাঙারোদ মাখা এই কিশোরীবেলা
দুলতে দুলতে মননে-মাচায়
তারা আত্মহারা
সামঞ্জস্য কি বীণা বাজায় এসে?
লীলাকমল ফোটে! আলতা পরে ঘাসে!
ধৈর্য শুধু সন্তর্পণ খোঁজে
মৃত্যুবাণ গোপন রেখে হাসে
আমি থাকি হরিমতির পাড়ায়
বিকেলবেলা কখনো সুখ পেলে
পথের ধারে একটু-আধটু দাঁড়াই
লতাদের ওই লতানো অভ্যাসে
যখন তখন পুরুষরা হয় পাখি
ঠোকর দিতে চায় মনোবীজে
ভাঙা টিনের বাক্স পিটিয়ে কাক উড়িয়ে দিই
এটাই মিছিল, এটাই স্লোগান
কার তাতে বা কী!
সমাজ এসে মাচা বাঁধুক
রাষ্ট্রপুলিশ গেয়ে যাক গান!
আমার লেখার কাছে ঘুমের বিকল্প খুঁজি রোজ
দর্শনকে শুইয়ে দিই, ব্যঞ্জনা খোলে মৃদু চোখ
কল্পনার আকাশে চাঁদ ভেসে যায়
মেঘেরা পাহাড় বানায়, সমুদ্র বানায়
অদিতি নক্ষত্র রাতের দিদিমণি
স্তব্ধতা পাঠ করে ঘ্রাণের বাতাস
সমস্ত শব্দের ব্ল্যাকবোর্ডে উপলব্ধি চলাচল করে
বোধের নিসর্গ থেকে উৎসাহ কাকে দেখে?
আনন্দ কোথাও নেই, শুধু তার মায়ালেখা হাসি
মনে করে তাকে রোজ রাতের শয্যা পাতি
রাত যাবে, কত রাত যাবে
সঙ্গমের ইচ্ছার তীব্রতা বুঝে
স্বপ্নের কাছে গিয়ে মনে মনে শোবো
এসো আকাঙ্ক্ষা, আমাদের ননী নেই
শোকাঞ্জলি দিই চলো
ঘুমের বিকল্প কিছু যদি হয় তবে…