শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । বাংলাদেশের কবিতা
পুড়ে যাওয়ার মত যতটা ফাগুন প্রয়োজন
সে আমাদের চোখে ছিলোনা
তারপরও অবোধ চোখাচোখি
চিনাবাদামগুলো ঝলসে দেয়
পিঞ্জিরার ভাঁজে
সব ভালো বাসি হলে বাসাবাসি হয়না
কিছু ভালো পুষ্টিহীনতায় ভোগে
হীনস্বার্থের ভালোলাগায়
যে উঠোন ভেঙে গিয়েছিলো
তার সুরঙ্গে নাও চলে
কিন্তু মসগুল হয়না মাঝি
আমরা কলিংবেলে হাত রাখি
ড্রয়িংরুমে সবুজ বাতাস
তবুও কুশিলব বিচ্ছিন্ন করিডরে
যেহেতু বামনের কপালেও চাঁদের ছায়া
রাতকে ফিরে আসতেই হয় অমাবস্যায়
হলদে কইতরও তবে সাদা চুড়ি পরবে
এমন ভবিতব্যে মরীচাধরে শিকলের
খয়েরী শুভ, ম-ম সুগন্ধে ভিজে চিরতা
তুমিটা ঘুমিয়ে থাকো
উতরিয়ে যায় চায়ের বাগান
আমি না হয় স্নানটা করেই আসি
ঘড়ির কাটাও বিকিয়ে যায় ঝিরিঝিরি মালিন্যের বিকিরণে
ভিজিয়ে রাখেনা সুখনুভূতি
আমরা সীমান্তসময়ের সীমা অতিক্রম করি
বহুগামী দৃষ্টির ভ্রমে
কাঁচা স্পর্শ মুছে দেওয়ার স্পর্ধা বর্তমানকে
ফেলে টগবগে কেটলির শেষ স্তরে
অভ্যাসের অভস্ত্যতায় নুয়ে পড়ে কমলা সকাল
শীর্ণ মায়া শুকিয়ে যায় শিউলির বৃন্তে
এমন অকারণের কোন স্বাধীন ভূমি নেই
খামখেয়ালি কিংবা খোঁড়া বসন্তে
এরা আসে
কোকিলের নখে
বেগানা শ্যাওলার শরীরে
সহনীয় অনিবার্যতায় ভাসিয়ে দেয় দিন-পঞ্জিকা
পূণরায় আমরা বৃত্ত আঁকি আত্মিক কেন্দ্রে
উড়ুক্কু ভরসায়
আমাদের ক্ষয়ে যেতেই হয়
অলৌকিক ঋণে
তাহার ভিতরে থেকেও
পাশবিক পর্যটনে